হিজবুল্লাহর সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এতে লেবাননে এখন অন্তত ১ হাজার ৪৩৭ জন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধারাবাহিক এই হামলায় আহত হয়েছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। এ অবস্থায় শনিবার হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ঘোষণা করেছে, তারা আত্মঘাতী ড্রোনের ঝাঁক নিয়ে তেল আবিবের উপকণ্ঠগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
রোববার এই বিষয়ে আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—হামলাটি শনিবার নাকি শুক্রবার হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি হিজবুল্লাহ। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, বৃহত্তর তেল আবিবের হার্জলিয়া এলাকার একটি ভবন লেবানন থেকে উৎক্ষেপণ করা দুটি ড্রোনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত বছরের ৮ অক্টোবর হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম লেবানন থেকে তেল আবিবে ড্রোন আক্রমণের খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
আনাদুলু জানিয়েছে, হার্জলিয়া থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটারের তেল আবিবের প্রধান বিমানবন্দর, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবস্থিত।
এর আগে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী বলেছিল, তারা হাইফার উত্তরে ইসরায়েলের জেভুলুন সামরিক শিল্প ঘাঁটি এবং উত্তরাঞ্চলীয় মিসগাভ আমের বসতিতে ইসরায়েলি সৈন্যদের একটি জমায়েতে রকেট ছুড়েছে।
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় বিপুল হতাহতের পাশাপাশি প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজারে পৌঁছেছে। গাজায় নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে একটি যুদ্ধ পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের আদলে দক্ষিণ লেবাননেও আগ্রাসন শুরু করে সংঘাতের এই সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।