গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ হলেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অক্ষের হামলা থামবে। দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে গতকাল বুধবার এ কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েল নির্বিচার হামলা বন্ধ না করলে সংঘাত এবং উত্তেজনা পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, গাজায় গণহত্যার অবসান হলে এই অঞ্চলে সামরিক কর্মকাণ্ড এবং সংকটের অবসান ঘটবে। লোহিত সাগরের নিরাপত্তা গাজার ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে জড়িত, এবং গাজায় ইসরায়েলের অপরাধ বন্ধ না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সমস্ত প্রতিরোধ ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান, জাহাজ এবং সাবমেরিন ইয়েমেন জুড়ে কয়েক ডজন বিমান হামলা চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ নিতে পিছপা হব না।’
আমিরাবদুল্লাহিয়ান আরও বলেন, ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে ইরাককে গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছে তেহরান।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা গত সোমবার ইরবিল শহরে ইরাকের গুপ্তচর সদর দপ্তরে আক্রমণ করেছে বলে জানায় তেহরান। পরে অবশ্য ইরাক তাদের দেশে এমন কোনো গুপ্তচর সংস্থার কর্মকাণ্ডের কথা অস্বীকার করেছে।
গত ১৯ নভেম্বর থেকেই লোহিত সাগরের বাণিজ্য জাহাজগুলো লক্ষ্য করে অন্তত ২৭টি হামলা চালিয়েছে হুতিরা। লোহিত সাগরের এ পথটি বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রধান একটি রুট।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু করার পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলগামী এবং ইসরায়েলের সব জাহাজে হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় হুতিরা। তবে, এ বাহিনী এমন কিছু জাহাজেও হামলা করে বসে যার ইসরায়েলের সঙ্গে স্পষ্ট কোনো সম্পর্ক নেই।