হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত দুই শতাধিক, সম্মতি দিয়েছেন ট্রাম্প

হাসপাতালে আহত ফিলিস্তিনিদের ভিড়। ছবি: আনাদুলো

যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। আজ মঙ্গলবার সকালে উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে তারা। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত আরও অনেক। ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।

আজ মঙ্গলবার গাজা কর্তৃপক্ষের গণমাধ্যম দপ্তরের বরাত দিয়ে হতাহতের তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরা।

হামলার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরুর আলাপ ব্যর্থ হওয়ার পরই হামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, ‘হামাস যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জিম্মিদের ফেরত দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সে কারণেই আবার হামলা শুরু করা হলো।’

বিবৃতিতে হামাসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে।’

বিবৃতিতে জানানো হয়, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এই হামলার পরিকল্পনা প্রস্তাব করে। পরে রাজনৈতিক নেতাদের অনুমোদনের পরই তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এদিকে, এই হামলার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

গত ১ মার্চ যুদ্ধবিরতি প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই একটি সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল মধ্যস্থতাকারীরা। হামাস প্রাথমিক খসড়া অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন চায়, অন্যদিকে ইসরায়েল চায় প্রথম ধাপই আরও কিছুদিন বাড়ানো হোক।

ইসরায়েলের চাহিদামতোই কায়রো বৈঠকে যুদ্ধবিরতি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিনিধিরা। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, বর্ধিত ওই সময়ে হামাস নিজেদের হাতে আটক বন্দীদের মুক্তি দেবে, পাশাপাশি ইসরায়েলও মুক্তি দেবে তাদের কারাগারে আটক থাকা ফিলিস্তিনিদের। কিন্তু মার্কিন প্রস্তাবে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে হামাস। এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়ছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরুর পরিকল্পনা নেতানিয়াহু অনেক আগেই করে রেখেছিলেন। শুধু ভালো একটা সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। প্রথমত নিজের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্যই এখন যুদ্ধ টিকিয়ে রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য। তা ছাড়া, ফিলিস্তিনে দখলদারি প্রতিষ্ঠার পুরোনো খায়েশ তো রয়েছেই। এরই মধ্যে ইসরায়েলের নতুন আর্মি চিফ বলেছেন, ‘২০২৫ সাল হতে যাচ্ছে যুদ্ধের বছর’।

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

এবার ডিজেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, বাংলাদেশিসহ ১৮ ক্রু আটক

ইরানে দুইবার সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ওয়াশিংটন: মার্কিন দূত

জানুয়ারিতেই হতে পারে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া

তীব্র শীতে গাজায় প্রাণ সংহারকারীর ভূমিকায় ‘বায়রন’, নিহত অন্তত ১৪

ইরানে নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদি গ্রেপ্তার

এবার গাজাবাসীর নতুন হুমকি ঘূর্ণিঝড় বায়রন, ঝুঁকিতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ