হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজার নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে হামাস, মাথাচাড়া দিচ্ছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ফাইল ছবি

গাজা উপত্যকার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর ইসরায়েলের বিরতিহীন আগ্রাসনে হামাসের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসের মুখে রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা নেতৃত্ব। আর এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ইসরায়েলি মদদপুষ্ট কিছু স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী।

এই হামাস কর্মকর্তা ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর প্রথম সপ্তাহেই ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হন। সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি আর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। যে কারণে, পরে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। বেশ কয়েকটি ভয়েস মেসেজে তিনি বিবিসিকে হামাসের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানান।

তাঁর ভাষ্যমতে, গাজার নিরাপত্তা কাঠামোর কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। করুণ অবস্থা নেতৃত্বেরও। এমন অবস্থায় ইসরায়েলকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া থেকে আটকানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। সংঘাত শুরুর আগে অঞ্চলটি হামাসের শাসনাধীন ছিল। গত সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্ত ঘোষণা দেন, ‘সামরিক কাঠামো হিসেবে হামাসের আর অস্তিত্ব নেই।’

জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া ৫৭ দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস নিজেদের রাজনৈতিক, সামরিক ও নিরাপত্তা পরিষদ পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মার্চে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আবারও সর্বাত্মক হামলা শুরু করলে সংগঠনটি বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। একেবারে শেষ! কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এতই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে যে মানুষ হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনীর (আনসার) কার্যালয়ে লুটতরাজ চালিয়েছে, হামাসের কিছুই করার ছিল না।

উল্লেখ্য, এই আনসার বাহিনীকেই গাজার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহার করত হামাস।

ওই হামাস কর্মকর্তার মতে, হামাসের এমন ভেঙে পড়ার কারণে উপত্যকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন ইসরায়েলপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী। এসব গোষ্ঠী যা ইচ্ছা তাই করছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘ওই গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা পুরো উপত্যকায় এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করে রেখেছে। যেকোনো সময় যে কাউকে হত্যা করতে পারে। কারও বাধা দেওয়ার সাহস নেই। কারণ, তাদের বাধা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে বিমান হামলা করবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।’

এসব গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আবু শাবাব গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর নেতা যাসের আবু শাবাবকে ইসরায়েল অস্ত্র সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই নেতাকে হত্যার জন্য মোটা অংকের পুরস্কারও ঘোষণা করেছে হামাস।

গাজার কয়েকটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, আবু শাবাব ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী একটি যৌথ পরিষদ গঠন করে হামাসকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন