ঢাকা: ১৯৮৮ সালে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে বিচারবহির্ভূত হত্যায় ইরানের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ভূমিকার তদন্ত করতে নতুন করে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ শনিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা ইরানের কট্টরপন্থী নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে তদন্তের এ আহ্বান জানিয়েছে।
সেই সময়ের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কথা কখনই স্বীকার করে না ইরান। ওই হত্যাকাণ্ডে নিজের ভূমিকার অভিযোগের ব্যাপারেও কখনো জনসম্মুখে মন্তব্য করেননি রাইসিও। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের শুরুর বছরগুলোতে সশস্ত্র বিরোধীদের নির্মূলে সংক্ষিপ্ত সময়ের বিচারে হাজারো মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ইরানে। দেশটির কিছু ধর্মীয় নেতা বলেছেন, বিচারকার্য সুষ্ঠু ছিল। সেই সময় দেশটির বিচার বিভাগের বিচারক ছিলেন রাইসি।
এ নিয়ে একটি বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার লোকজন কী ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং তাদের মরদেহ কোথায়—আজ পর্যন্ত ইরানি কর্তৃপক্ষ তা পরিকল্পিতভাবে গোপন করেছে। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
এর আগেও রাইসির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আহ্বান জানিয়েছিল অ্যামেনেস্টি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় রাইসির ভূমিকা নিয়ে ২০১৮ সালে একটি নথি প্রকাশ করে অ্যামেনেস্টি। এ নিয়ে অ্যামেনেস্টি প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমরা রাইসির বিরুদ্ধে অতীতের এবং বর্তমান অপরাধের তদন্তের আহ্বান জানাই।