হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

বাশারের অর্ধশতাধিক বন্দিশালায় নির্যাতন চলত ৭২ উপায়ে, ভুক্তভোগী কয়েক লাখ

সিরিয়ায় আসাদ রেজিমের পতনের পর সেদনায়া কারাগারের গোপন কক্ষগুলোতে তদন্ত চালানোর সময় নির্যাতনে নিহত ব্যক্তিদের মৃতদেহের উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের আল-মুজতাহিদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: আনাদোলু

সিরিয়ার পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তাঁর সরকার দেশজুড়ে অর্ধশতাধিক বন্দিশালায় বিরোধীদের নির্যাতন করত। নির্যাতনের ক্ষেত্রে আসাদ রেজিমের লোকজন ৭২টিরও বেশি নির্মম পদ্ধতি ব্যবহার করত। মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল-আসাদের সরকার সিরিয়ার ৫০টিরও বেশি কারাগার ও আটক কেন্দ্রে অগণিত বন্দীর বিরুদ্ধে ৭২টিরও বেশি ভিন্নধর্মী নির্যাতন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ১২ লাখ সিরিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের অনেকে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

সংগঠনটি আসাদের বন্দিশালাগুলো তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছেন—বেসামরিক ও সামরিক কারাগার, অঘোষিত গোপন বন্দিশালা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলো দেশের সব অঞ্চলেই ছিল। আসাদ সরকার রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্যাতনের জন্য বিশেষভাবে নকশাকৃত গোপন বন্দিশালা স্থাপন করেছিল। এসব কাজে সিদ্ধহস্ত ছিলেন বাশার আল-আসাদের ছোট ভাই মাহের আল-আসাদ। তিনি সিরিয়ার সেনাবাহিনীর চতুর্থ ডিভিশনের অধিনায়ক ছিলেন।

প্রচলিত কারাগারগুলোর পাশাপাশি ২০১২ সালের শুরুর দিকে কিছু বাড়ি এবং খেলার মাঠকে অস্থায়ী বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। প্রতিবেদনে চারটি প্রধান গোয়েন্দা সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যারা বাশার আল-আসাদের সরকারের হয়ে নির্যাতন চালাত। সেগুলো হলো—সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগ, সাধারণ গোয়েন্দা অধিদপ্তর এবং বিমানবাহিনী গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সহিংসতা, মানসিক নির্যাতন ও যৌন নির্যাতন। এতে আরও বলা হয়েছে, অমানবিক কৌশলের মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক শ্রম এবং ছোট কক্ষে একাকী বন্দিত্ব।

শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে—বন্দীদের শরীরে ফুটন্ত পানি ঢালা, ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করা, বৈদ্যুতিক শক ব্যবহার, নাইলন ব্যাগ পুড়িয়ে তা শরীরে প্রয়োগ করা, সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া এবং আঙুল, চুলের গোড়া বা কানসহ সংবেদনশীল অংশ পোড়ানো। আরও চরম পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে প্লায়ার্সের মতো যন্ত্র ব্যবহার করে নখ তুলে নেওয়া, জোরপূর্বক চুল উপড়ে ফেলা বা ধারালো যন্ত্র দিয়ে অঙ্গহানি করা।

বিরোধী শক্তিগুলো সিরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ লাভ করার পর কিছু বন্দী আলেপ্পো, হামা, হোমস, সুইদা ও দামেস্কের কাছাকাছি আদরা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কুখ্যাত কারাগারের মধ্যে রয়েছে—সেদনায়া কারাগার, মেজ্জেহ কারাগার, দামেস্কের কাবুন কারাগার, হোমসের আল-বালুন কারাগার এবং তাদমর কারাগার।

ইয়েমেন সংঘাতে মুখোমুখি অবস্থানে সৌদি ও আরব আমিরাত

ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে প্রতিরক্ষা জোট শক্তিশালী করছে গ্রিস ও সাইপ্রাস

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত