ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বিচার বিভাগের সংস্কার বিল সাময়িক স্থগিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল সোমবার রাতে তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে বিভক্তি ঠেকাতে বিলটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এ ঘোষণার পর ইসরায়েলে আপাতত স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বিলটি সাময়িক স্থগিত করা হলেও পরে আবার সংসদে উত্থাপন করা হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। আপাতত আগামী অধিবেশন পর্যন্ত এই বিল স্থগিত রাখা হয়েছে।
বিচার বিভাগ সংস্কার বিলের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরু থেকেই বিক্ষোভ করে ইসরায়েলের মানুষ। গত ২৭ মার্চ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করার পর বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। লাখো মানুষ নেমে আসে তেলাবিবের রাস্তায়। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক বিরোধীরা। তবে নেতানিয়াহুর পক্ষের অনেকেও তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
অবশেষে সোমবার রাতে সংস্কার বিল সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে একটা ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ জাতির মধ্যে যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
‘চরমপন্থী সংখ্যালঘু’ একটি গোষ্ঠী জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেছেন, ‘সংস্কার বিল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সঠিক।’ এর আগে তিনি বিতর্কিত বিলটি বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদও নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সরকার যদি এখন একটি বাস্তবসম্মত সংলাপে বসে, তাহলে এই সংকট থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।’