বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফেরাসহ মানবিক সহায়তা বাড়ানোসহ শর্তসমূহ ইসরায়েল মেনে নিলেই ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। কায়রোতে যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর আগে আজ রোববার একথা বলেছেন হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘ইসরায়েল যদি হামাসের শর্ত মেনে নেয় তবে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব। হামাসের শর্তগুলোর মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফেরাসহ মানবিক সহায়তা বাড়ানোর কথা রয়েছে।’
এদিকে মিসরভিত্তিক আল কাহেরা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধ বিরতি নিয়ে আলোচনা নতুন করে শুরু করতে হামাস, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতিনিধি এরই মধ্যে মিসরে গিয়ে পৌঁছেছেন। প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলমান ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধে সাময়িক বিরতির লক্ষ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরেই মধ্যস্থতা করে আসছে কায়রো, দোহা ও ওয়াশিংটন।
এআলোচনার উদ্দেশ্য হলো- আগামী সপ্তাহের শুরুতে রমজানের আগেই একটি সমঝোতা নিশ্চিত করা। তবে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর গাজায় যুদ্ধ বিরতির আশা ক্ষীণ হয়ে আসে।
ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখা এবং ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি ও ত্রাণ সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানোর বিনিময়ে হামাসের জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই আলোচনা করা হচ্ছে।
এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে অভিযান জোরদার করেছে এবং বিমান ও গোলাবারুদের হামলায় হামাসের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস হয়েছে। বিমানবাহিনী ও গোলাবারুদের হামলায় ছয় মিনিটে প্রায় ৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়।
ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, তারা ইসরায়েলি ট্যাংককে এত দ্রুত গতিতে অগ্রসর হতে দেখে হতবাক হয়ে পড়েছিল। এরপরই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়ে যায় ইসরায়েলি বাহিনীর।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খান ইউনিসকে কেন্দ্র করেই ইসরায়েলি সামরিক অভিযানগুলো চালানো হচ্ছে।