অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাসহ বিভিন্ন শহরে ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমনকি অঞ্চলটির বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্টেও অভিযান চালাচ্ছে তারা। মূল লক্ষ্য অর্থ জব্দ করা। এরই মধ্যে প্রায় আড়াই মিলিয়ন বা ২৫ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ জব্দ করেছে তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযানে এক ফিলিস্তিনিও নিহত হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিম তীরের একটি সূত্র আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে ওই ব্যক্তি মারা যান। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর অভিযানে এরই মধ্যে রামাল্লায় আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে। পশ্চিম তীরের অপর একটি শহর হালুলে ইসরায়েলি অভিযানে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৯ জন।
রামাল্লা ও হালুল ছাড়াও ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে, আল-বিরেহ, হেবরন, নাবলুস, জেনিন, তুলকারেম ও জেরিকো শহরেও। আল-জাজিরা জানিয়েছে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেনিনে অভিযান চলছিল।
মূলত ইসরায়েলি অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো পশ্চিম তীরের মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্টগুলো। ইসরায়েলিদের দাবি, এসব এক্সচেঞ্জ পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক অর্থ আসছে পশ্চিম তীরে। যা ইসরায়েল বিরোধী লড়াইয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর আগে, ২০১৬ সালে এ ধরনের অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েল।
এই অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী রামাল্লার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট থেকে আড়াই মিলিয়ন ডলার অর্থ জব্দ করেছে। এর মধ্যে ৩টি মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট রামাল্লায় অবস্থিত এবং পশ্চিম তীরের অন্যান্য দুটি শহরের আরও দুটি মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট থেকে এস অর্থ জব্দ করেছে।
রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক ইমরান খান জানিয়েছেন, রামাল্লার একটি মানি এক্সচেঞ্জ পয়েন্টে অর্থ জব্দ করতে গিয়ে সেখানকার সেফটি বিস্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ জনে। এর মধ্যে ২১ হাজার ১ শ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে গাজায় এবং ৩ শ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে পশ্চিম তীরে। দুই অঞ্চল মিলে আহত হয়েছে প্রায় ৫৯ হাজার।