হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৬১,৩৬৯, অনাহারে মৃত্যু ২১২ জনের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গাজায় অনেকগুলো বহুজাতিক কোম্পানি ইসরায়েলি গণহত্যায় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ছবি: আনাদুলু

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা থামার কোনো লক্ষণ নেই। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬১ হাজার ৩৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৫০ জনের বেশি মানুষ। এ সময়ে গাজায় নতুন করে অনাহারে মারা গেছে অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি।

গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতাল ৩৯ জনের মরদেহ নিয়েছে। একই সময়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪৯১ জন আহত হয়েছে। এখনো অসংখ্য লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় পড়ে রয়েছে, কিন্তু অব্যাহত হামলার কারণে উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

এ ছাড়া মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২১ জন নিহত ও ৩৪১ জন আহত হয়েছে। চলতি বছরের ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৪৩ জনে এবং আহত হয়েছে ১২ হাজার ৫৯০ জনের বেশি।

এদিকে গাজায় দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যুও দ্রুত বাড়ছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে আরও ১১ জন মারা গেছে, যাদের মধ্যে কয়েকটি শিশু। এ নিয়ে দুর্ভিক্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১২ জনে, এর মধ্যে ৯৮ জন শিশু। অধিকাংশ মৃত্যু ঘটেছে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, কারণ, ইসরায়েল মে মাসের শেষের দিকে আংশিক অবরোধ শিথিল করলেও ত্রাণ প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত রেখেছে।

উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া সতর্ক করে বলেন, শিশু ও প্রবীণদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, অপুষ্টি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং মৃত্যু ডেকে আনে।

মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ইসরায়েলি সেনারা নতুন করে গাজায় হামলা শুরু করেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৬২ জন নিহত এবং ৪০ হাজার ৮০৯ জন আহত হয়েছে। এতে জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি কার্যত ভেঙে গেছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ছাড়া গণহত্যার দায়ে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার প্রায় সব অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। পানি, খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের তীব্র সংকটে ২৩ লাখেরও বেশি মানুষ চরম মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে। বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলকে অবরোধ ও হামলা বন্ধ করে অবিলম্বে পূর্ণ মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেও এখনো বাস্তব কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

গাজায় যুদ্ধবিরতি খুব ভালোভাবে চলছে, দ্বিতীয় ধাপ শুরু শিগগির: ট্রাম্প

মার্কিন মধ্যস্থতায় ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় লেবানন-ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের নেলসন ম্যান্ডেলা: বারঘৌতির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার দুই শতাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

‘সর্বত্র ভূত দেখে’ যত্রতত্র ‘বোমা ফেলছেন বিবি’, লাগাম টানতে ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই একমাত্র সমাধান—পোপ

দুর্নীতির মামলায় প্রেসিডেন্টের কাছে নেতানিয়াহুর ক্ষমা প্রার্থনা

গাজার পুলিশ বাহিনী গঠনে হাজারো ফিলিস্তিনিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে, নিহত ৭০ হাজার ছাড়াল

সংঘবদ্ধ নির্যাতন ‘কার্যত’ ইসরায়েলের রাষ্ট্রনীতি, কুকুর হামলা, যৌন নির্যাতনের চিত্র জাতিসংঘের প্রতিবেদনে