ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের বিশেষায়িত ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালনায় একাধিক স্কুল রয়েছে গাজা উপত্যকায়। এর মধ্যে একটি স্কুল ছিল গাজার মাঝামাঝি অঞ্চলে অবস্থিত আল-মাঘাজি শরণার্থী শিবিরে। মঙ্গলবার সেখানেই ইসরায়েলি বোমা আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ওই সংস্থাটির বরাত দিয়ে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে স্কুলে হামলার খবর দিয়েছে বিবিসি।
আল-মাগাজি শরণার্থীশিবিরের স্কুলে হামলার বিষয়ে ইউএনআরডব্লিউএ কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছে, ‘এটি আপত্তিজনক এবং এর মাধ্যমে বেসামরিক মানুষদের জীবনের প্রতি একটি স্পষ্ট অবহেলা দেখা গেছে।’
আরও লেখা হয়—গাজায় কোনো স্থানই আর নিরাপদ নয়, এমনকি জাতিসংঘের স্থাপনায়ও নয়।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে লেখা হয়েছে—অন্তত ৪ হাজার মানুষ এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না এবং এখনো নেই।
হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাতের সূত্র ধরে গত ১১ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। ইউএনআরডব্লিউএ-এর তথ্য মতে, চলমান সংঘাতে গাজায় ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা প্রায় এই শহরের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে ৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। আর ইসরায়েলি নিহত হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন।