পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় দুই অভিবাসী শ্রমিক পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতের কেন্দ্র সরকারের নির্বাসন আদেশ খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এ বছরের শুরুতে পরিবার দুটিকে বাংলাদেশে পুশ ইন বা ঠেলে পাঠানো হয়েছিল।
আজ শুক্রবার বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবিসহ ওই দুই পরিবারের ছয় সদস্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে আনতে হবে।
আদালত এই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কেন্দ্রের করা অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তিদের ভারতে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছি। তাদের ফিরিয়ে আনতে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, তা-ও আমরা বলেছি। চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে।’
আটক ব্যক্তিদের বাংলাদেশি নাগরিকের মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন আদালত।
এর আগের এক শুনানিতে আদালত কেন্দ্রকে হলফনামা দিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিলেন, কীভাবে পরিবারগুলোকে নির্বাসিত করা হয়েছিল এবং কোন জায়গা থেকে তাদের নির্বাসিত করা হয়েছিল।
এরপর সেই হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র।
আজ আদালতের এই আদেশের প্রশংসা করে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘সত্যমেব জয়তে। সত্যেরই জয় হয়েছে। আজ কলকাতা হাইকোর্ট বিজেপির ভণ্ডামি ফাঁস করে দিয়েছেন। অন্তঃসত্ত্বা বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি বিবি এবং অন্য পাঁচজনকে (শিশুসহ) “বাংলাদেশি নাগরিক” হিসেবে চিহ্নিত করার তাদের চেষ্টা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
‘আমি কখনো ভুলব না, বীরভূমের সত্যিকারের সন্তান এই পরিবারগুলোর পাশে যখন আমি দাঁড়িয়েছিলাম, তখন বিজেপির অনুচরেরা আমার এবং আমার পরিবারের ওপর কী পরিমাণ জঘন্য ব্যক্তিগত আক্রমণ চালিয়েছিল। এটি শুধু আমার বিজয় নয়; এটি বাংলারও বিজয়। বিজেপির বাংলাবিরোধী, গরিববিরোধী নীতির প্রতি এক কঠোর ধিক্কার।’