হোম > বিশ্ব > ভারত

নিকাব বিতর্ক: বিহারের নীতীশের পক্ষে সাফাই গাইলেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। ছবি: সংগৃহীত

সনদ নিতে আসা এক নারী চিকিৎসকের মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে বিতর্কের মুখোমুখি ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে এই বিতর্কে নীতীশের পক্ষে মন্তব্য করে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তাঁর বক্তব্যকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছেন সমালোচকেরা। পরে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ভারত সংবাদ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিষাদ বলেন, সঠিক ব্যক্তির হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না যাচাই করতে নীতীশ কুমার ওই নারীর নিকাব সরিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি শরীরের অন্য কোনো অংশে স্পর্শ করতেন, তাহলে ঘটনাটি কীভাবে দেখা হতো।

সাক্ষাৎকারে নিষাদকে বলতে শোনা যায়, ‘নিকাব টেনে নেওয়া হয়নি, সরানো হয়েছে। যাচাই করার জন্যই এটি করা হয়েছে, যাতে সঠিক ব্যক্তিকেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এ নিয়ে মানুষের হৈচৈ করা উচিত নয়। তিনিও তো একজন মানুষ। তাঁর পেছনে লেগে থাকা ঠিক নয়। শুধু নিকাব ছুঁয়েছেন বলেই এত কিছু হয়ে গেল। অন্য কোথাও ছুঁলে তাহলে কী হতো?’

সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করার সময় মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদকে হাসতে দেখা যায়।

এ ঘটনায় সঞ্জয় নিষাদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রিণাতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ হাসতে হাসতে এই নির্লজ্জ কথাগুলো বলেছেন। যেভাবে এবং যে কুটিল হাসি দিয়ে তিনি কথা বলছেন, তা তাঁর ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতাই প্রকাশ করে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাটনায় এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে সনদপত্র তুলে দিচ্ছেন ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার।

সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।

ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।

বিরোধীরা এই ঘটনাকে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা এক নারীর প্রকাশ্য হয়রানি ছাড়া আর কিছু নয় বলে নিন্দা জানিয়েছে।

নীতীশের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেত্রী সুপ্রিয়া। তিনি একে ‘ঘৃণ্য, অযৌক্তিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতার’ বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন।

কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’

এদিকে বিতর্কের মুখে পড়ে পরে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন সঞ্জয় নিষাদ। তিনি বলেন, ‘যে বক্তব্যকে ঘিরে আজ বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে, সেটি আমি হাসতে হাসতে, খুব সাধারণভাবে এবং আমার স্থানীয় ভোজপুরি ভাষায় বলেছিলাম। কোনো সম্প্রদায়, কোনো নারী বা কোনো ধর্মের প্রতি আমার কোনো কু-উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে অপমান করারও কোনো ইচ্ছা ছিল না।’ পিটিআইকে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা জানান নিষাদ।

যোগী আদিত্যনাথের দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। তিনি ২০২১ সাল থেকে উত্তর প্রদেশ বিধান পরিষদের সদস্য। নিষাদ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তিনি ২০১৬ সালে নিষাদ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন।

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে রাহুলের পোস্টেও বাংলাদেশ নেই, একাত্তরে সীমান্ত রক্ষায় ‘ভারতীয় বীর’দের শ্রদ্ধা

ইমরানকে বন্দী করে সাংবিধানিক ক্যুর মাধ্যমে আজীবন দায়মুক্তি নিয়েছেন সেনাপ্রধান: ভারতীয় রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসকে ফের ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে শুভেচ্ছা মোদির

ভারতে ঘন কুয়াশায় ১০টি বাস–গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত অন্তত ৪

পেহেলগাম হামলায় এনআইএর চার্জশিট, ৫ ব্যক্তির সঙ্গে এলটিই-টিআরএফও অভিযুক্ত

হিমালয়ে হারিয়ে যাওয়া পারমাণবিক যন্ত্র ৬০ বছর পরও গঙ্গার জন্য ঝুঁকি

আরও ৩০০ কোটি রুপির ইসরায়েলি ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন কিনছে ভারত

দিল্লিতে ঘন ধোঁয়াশায় ৪০ ফ্লাইট বাতিল, বিলম্বিত ৩০০

ভারতে বসে বাংলাদেশে সন্ত্রাস— ঢাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান দিল্লির