ইউক্রেনে আবারও বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় একজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বুধবার রাতভর ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চল লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কমপক্ষে ৬১৪টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিবিয়া জানান, বিভিন্ন ধরনের ড্রোন, হাইপারসনিক-ব্যালিস্টিক-ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে তিনি জানান, একটি মার্কিন ইলেকট্রনিকস ম্যানুফ্যাকচারার প্রতিষ্ঠানে আঘাত হানে রাশিয়ার ছোড়া মিসাইল। এ হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হতাহতও ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেননি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জাপোরিঝিয়া, নিপ্রোপত্রোভস্ক, লভিভসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিবিয়া বলেন, এ হামলা আবার প্রমাণ করে দিল ইউক্রেনের কেন আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজন।
এ হামলা এমন সময়ে হলো, যখন বিবদমান দুই দেশের প্রেসিডেন্ট শান্তিচুক্তি আলোচনা নিয়ে তোড়জোড় করছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্ভাব্য শান্তি আলোচনার জন্য সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া বা তুরস্ককে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। এর আগে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কিসহ ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সম্ভাব্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথাও উঠছে।
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজিয়ার্তো আজ বুদাপেস্টকে আলোচনার স্থান হিসেবে প্রস্তাব করেন। তবে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগ ব্যাহত করার কারণে হাঙ্গেরিকে নিরপেক্ষ হিসেবে সবাই দেখবে না বলে মনে করা হচ্ছে।