জিহাদের পক্ষ নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার পর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উত্তরাঞ্চলে একটি মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ছয় মাস এই মসজিদটি বন্ধ থাকবে। আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী প্যারিসের ১০০ কিলোমিটার উত্তরে ওইস অঞ্চলে ৫০ হাজার মানুষের শহর বিউভাইসে ওই মসজিদটির অবস্থান।
স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, বক্তৃতার সময় মসজিদের ইমামের জিহাদে অংশ নেওয়াদের বীর বলে আখ্যায়িত করেন।
দুই সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানান, ওই মসজিদের ইমাম খ্রিষ্টান, সমকামী এবং ইহুদিদের লক্ষ্য করে বক্তৃতা দিয়েছেন। তাই মসজিদটি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরুর হয়েছে। মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে ১০ দিনের সময় দিয়েছিল ফ্রান্স সরকার।
তার ওই ঘোষণার পর সেটি ছয় মাসের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, ধর্মীয় স্থাপনায় এ ধরনের বক্তৃতা গ্রহণযোগ্য নয়।
কোনো ধর্মীয় স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ফরাসি আইনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ১০ দিন ধরে তথ্য-সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সেখানকার কর্তৃপক্ষ এএফপিকে বলেছে, আগামী দু’দিনের মধ্যে মসজিদটি বন্ধ হয়ে যাবে।
চলতি মাসে স্থানীয় দৈনিক কুরিয়ার পিকার্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই মসজিদের ইমাম সম্প্রতি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। মসজিদ ব্যবস্থাপনা সংস্থার একজন আইনজীবীর বরাত দিয়ে এই দৈনিক বলছে, ইমামের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওইস অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার পর ইমামকে তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, বক্তৃতার সময় মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ, সহিংসতা এবং জিহাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন ওই মসজিদের ইমাম খ্রিষ্টান, সমকামী এবং ইহুদিদের লক্ষ্য করে বক্তৃতা দিয়েছেন বলে দুই সপ্তাহ আগে মসজিদটি বন্ধের প্রক্রিয়া শুরুর তথ্য জানিয়েছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কুরিয়ার পিকার্ডের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ওই মসজিদের ইমাম সম্প্রতি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
মসজিদ ব্যবস্থাপনা সংস্থার একজন আইনজীবীর বরাত দিয়ে এই দৈনিক বলছে, ইমামের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ওইস অঞ্চল কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার পর ইমামকে তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
.