১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যাদের জন্ম মূলত তারাই মিলেনিয়াল প্রজন্ম। আর ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে যাদের জন্ম তাদেরকে জেড প্রজন্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অর্থাৎ বর্তমানে ১২ থেকে ২৭ বছর বয়সী মানুষেরা জেড প্রজন্মের। আর ২৮ থেকে ৪৩ বছর বয়স যাদের তারা মিলেনিয়াল প্রজন্মের। আলাদাভাবে এই দুই বয়সসীমার মানুষেরা কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সুখী তা বেরিয়ে এসেছে সম্প্রতি প্রকাশিত সুখী দেশের একটি তালিকায়।
মাথাপিছু আয়, সামাজিক সমর্থন, স্বাস্থ্যকর আয়ু, স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির স্বাধীনতা এই ছয়টি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে ১৪৩টি দেশের মধ্যে সুখী দেশের তালিকাটি করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েলবিং রিসার্চ সেন্টার। এই তালিকায় সামগ্রিকভাবে ফিনল্যান্ডকে সবচেয়ে সুখী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলেও বয়স বিবেচনায় বা ৩০ বছরের নিচে যাদের বয়স তারা সবচেয়ে সুখী অন্য একটি দেশে। ইউরোপের লিথুয়ানিয়াই সেই দেশ।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরুণ বয়সীরা লিথুয়ানিয়ায় সবচেয়ে বেশি সুখী হলেও সামগ্রিক সুখের তালিকায় দেশটি ১৯ তম স্থানে রয়েছে। দেশটির রাজধানী ভিলনিয়াসকে তরুণ কর্মীদের জন্য একটি প্রাণবন্ত শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভিলনিয়াসে অবস্থান করা রিকার্ডো সার্জিও স্মিতজ নামে এক ব্রাজিলিয়ান কনসালট্যান্ট এর আগে বিজনেস ইনসাইডারকে জানিয়েছিলেন, তরুণ বয়সীরা লিথুয়ানিয়ার রাজধানী শহরে ছুটে আসছে কারণ এখানে ক্যারিয়ার গড়ার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। তরুণ কর্মীরা এখানে সহজেই তাদের কাজের মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারেন। এর ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে তরুণ কর্মীরা ছুটে আসেন এবং নিজ দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে যাওয়ার সুযোগ পান।
এদিকে সুখী দেশের তালিকা বলছে—স্বপ্নের দেশ হলেও আমেরিকায় সংগ্রাম করছে তরুণ বয়সীরা। এবার সামগ্রিক সুখের তালিকায় দেশটি আগের বারের ১৫ তম অবস্থান থেকে এবার ২৩ তম অবস্থানে নেমে গেছে। আর অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সীদের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ। অনূর্ধ্ব-৩০ বিবেচনায় তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল ৬২তম।
অন্যদিকে সামগ্রিক সুখে ফিনল্যান্ড এক নম্বর দেশ হলেও বয়স্কদের তুলনায় ফিনিশ যুবকদের মধ্যে সুখ কিছুটা কম রয়েছে। ৩০ বছরের কম বয়সীদের সুখ বিবেচনা করলে দেখা যায়—এই তালিকাটির সপ্তম স্থানে অবস্থান করছে ফিনল্যান্ড।