যুক্তরাজ্যের ওল্ডবেরি শহরে বিশের কোঠার এক শিখ নারীকে দুজন ‘শ্বেতাঙ্গ পুরুষ’ ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ভুক্তভোগীকে ‘বর্ণবাদী মন্তব্য’ শুনতে হয়। হামলাকারীরা তাঁকে ‘নিজের দেশে ফিরে যাও’—এ কথাও বলেছে বলে জানিয়েছেন ওই নারী।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওল্ডবেরির টেম রোডের কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
যুক্তরাজ্য পুলিশ এ ঘটনাকে ‘বর্ণবাদী বিদ্বেষমূলক’ হামলা হিসেবে দেখছে এবং হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে জনগণের সাহায্য চেয়েছে।
পুলিশ বলেছে, ওই নারী তাদের জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ঘটনার সময় ‘বর্ণবাদী মন্তব্য’ করেছিল।
এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং ফরেনসিক তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বার্মিংহাম লাইভ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ‘শ্বেতাঙ্গ পুরুষ’। একজনের পরনে ছিল কালো রঙের সোয়েটশার্ট। তার মাথা কামানো ছিল। অন্যজনের পরনে ছিল ধূসর রঙের টপ।
এ ঘটনায় স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং এটিকে একটি ‘পরিকল্পিত হামলা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই ক্ষোভ ‘সম্পূর্ণ বোধগম্য’। তিনি ওই এলাকায় টহল বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
ব্রিটিশ এমপি প্রীত কৌর গিল ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে ‘প্রকাশ্য বর্ণবাদের’ আচরণ বৃদ্ধি ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রীত কৌর গিল বলেন, ‘এটি একটি চরম সহিংসতা ছিল। তবে এটি জাতিগত বিদ্বেষমূলক হামলা হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।
‘কারণ, হামলাকারীরা তাকে বলেছিল, সে “এখানে থাকার যোগ্য নয়”। অথচ সে এখানেই থাকার যোগ্য। আমাদের শিখ সম্প্রদায় এবং প্রতিটি সম্প্রদায়ের নিরাপদ, সম্মানিত এবং মূল্যবান বোধ করার অধিকার আছে। ওল্ডবেরি বা যুক্তরাজ্যের কোথাও বর্ণবাদ এবং নারীবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই।’