ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ইউক্রেনের দাবি, সোমবার (১০ অক্টোবর) অন্তত ৮৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এই হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি ‘গভীরভাবে মর্মাহত’।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি উন্নত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ ইউক্রেনকে আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসব হামলাকে বর্বরতা ও নৃশংসতা হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, এটি প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনৈতিক যুদ্ধ।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া-ক্রিমিয়া সংযোগকারী একমাত্র সেতুতে হামলার প্রতিশোধ নিতেই ইউক্রেনজুড়ে হামলা শুরু হয়েছে। সেতুটিতে গত শনিবারের ওই বিস্ফোরণের জন্য পুতিন ইউক্রেনকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করেন।
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার পক্ষ থেকে ৮৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এতে ৪৩ জনের বেশি মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত আরও অনেকে। এ ছাড়া জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতের পর বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েকটি এলাকায় দেখা দেয় পানির সংকটও।