জাপান ও অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ-পশ্চিম ওকিনাওয়ার আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর (এসডিএফ) ফাইটার জেটের ওপর রাডার লক করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরদিনই রোববার (৭ ডিসেম্বর) টোকিওতে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত এসেছে।
জাপান জানিয়েছে, চীনা বিমানবাহী রণতরী ‘লিয়াওনিং’ থেকে উড্ডয়ন করা জে–১৫ যুদ্ধবিমান দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই দফায় জাপানি এফ–১৫ জেটের ওপর রাডার লক করে। এই ঘটনা নিরাপত্তা ইস্যুতে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, ‘গত রাতের ঘটনা উদ্বেগজনক। অস্ট্রেলিয়াও সম্প্রতি চীনের সঙ্গে এমন আচরণের অভিজ্ঞতা পেয়েছে। এই অঞ্চলে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা রক্ষায় আমরা জাপানের পাশে থাকব এবং দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেব।’
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি রাডার লকের ঘটনাটিকে ‘বিপজ্জনক ও অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শান্তভাবে কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে এমন কর্মকাণ্ডের জবাব দেব, যাতে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’
বৈঠকের আগে অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী জাপানের প্রতিরক্ষা দপ্তরে প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড ক্যাপাবিলিটি–৩ (পিএসি-৩) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন।
চলতি বছরের আগস্টে অস্ট্রেলিয়া তার নতুন নৌবহরের জন্য জাপানের উন্নত মোগামি-শ্রেণির যুদ্ধজাহাজকে প্রাধান্য দেয়। এই জাহাজ মোট ১১টি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার—যার প্রথম তিনটি জাপানে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিশ্লেষকদের মতে, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন এই সমঝোতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তার ভারসাম্য ও চীনের প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।