আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া। শনিবার দেশটি দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এমন সময়ে এই পরীক্ষা চালানো হলো—যখন এক মার্কিন সৈন্য ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশের পর স্রেফ গায়েব হয়ে গেছে। পাশাপাশি সেই সৈন্য গায়েব হওয়ার পরদিনই যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে সাবমেরিন মোতায়েন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে টানাপোড়েন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস (জেসিএস) জানিয়েছে, তারা স্থানীয় সময় শনিবার ভোর ৪টার দিকে উত্তর কোরিয়া থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষিপ্ত হতে দেখেছে। জেসিএস বলেছে, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করছে এবং দৃঢ় প্রস্তুতির মাধ্যমে নজরদারি ও সতর্কতা বৃদ্ধি করেছে।’
শনিবার নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্র দুটি ঠিক কত দূরত্ব অতিক্রম করেছে অর্থাৎ তাদের পাল্লা কেমন তা জানা যায়নি।
এর আগে, গত বুধবার উত্তর কোরিয়া দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র দুটির পরীক্ষা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র দুটি পতিত হওয়ার আগে গড়ে ৫৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে।
ক্ষেপণাস্ত্র দুটি যে দূরত্ব অতিক্রম করেছে তা মূলত উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরনগরী বুসানের দূরত্বের সমান। এই বন্দরনগরীতেই মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন ইউএসএস কেনটাকি অবস্থান করছে। ১৯৮০-এর দশকের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়া সফর করছে।