হোম > বিশ্ব

কিউবার রাস্তায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

কিউবায় এমন ঘটনা বিরল। তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশটিতে। স্থানীয় সময় রোববার হঠাৎ করেই দেশটির বিভিন্ন শহরে রাজপথে নেমে এসেছিলেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। খাদ্যস্বল্পতা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না থাকায় দেশটির কমিউনিস্ট শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ারও প্রতিবাদ হয়। দাবি ওঠে নাগরিক স্বাধীনতা প্রদানেরও।

আকস্মিক এই বিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোরতা দেখিয়েছে কিউবার সরকার। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও লাঠিপেটার পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে দেশটির পুলিশ। 
 
দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, স্থানীয় সময় রোববার সকালে কিউবার পশ্চিমাঞ্চলীয় স্যান অ্যান্টোনিও ডি লস বানোস এবং পূর্বাঞ্চলীয় পালমা সোরিনো শহরে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েক শ মানুষ। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরের দিকে রাজধানী হাভানার রাস্তায় নেমে আসেন কয়েক হাজার মানুষ। নানা ধরনের স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন তাঁরা। এসব প্ল্যাকার্ডে কিউবার সরকারকে ‘একনায়ক’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এই সরকারের অবসান চান বিক্ষোভকারীরা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে মিছিলে। 
 
মিছিল থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চল্লিশোর্ধ্ব এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘ক্ষুধার কারণে আজ আমি এখানে। পর্যাপ্ত ওষুধ নেই দেশে, ঘাটতি আছে বিদ্যুৎ সরবরাহে, সবকিছুরই অভাব দেখা দিয়েছে।’ দেশে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান চান ওই বিক্ষোভকারী। সরকার পরিবর্তনসহ বদল চান সামগ্রিক পরিস্থিতির।

মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশি অভিযান শুরু হলে বিক্ষোভকারীরাও তাদের ওপর চড়াও হন। বেশ কয়েকটি পুলিশ ভ্যান ভাঙচুরও করেন তাঁরা। জবাব দেন পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়েও।

এদিকে, কিউবার কমিউনিস্ট সরকার এই বিক্ষোভকে মার্কিন ষড়যন্ত্র বলেই আখ্যা দিয়েছে। বিক্ষোভ যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সে জন্য রাস্তায় সেনা নামানো হয়। কিউবার প্রেসিডেন্ট ও দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানাল কমিউনিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান–তাঁরা যেন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

তবে প্রেসিডেন্টের এ ধরনের আহ্বান সংঘাতের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। এমনটি দেখাও গেছে কিছু ক্ষেত্রে। প্রেসিডেন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মারামারি করেছেন কিছু কমিউনিস্টপন্থী। এতে দুই দলেই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত বছর পর্যন্ত কিউবার পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। মহামারি শুরু হলেও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল কিউবার সরকার। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর কিছুটা টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দেশটিতে। পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক সময়গুলোতে দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশজুড়ে লকডাউন জারি রাখতে বাধ্য হয়েছে সরকার। ফলে অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। কমে গেছে উৎপাদন। বেড়ে গেছে দ্রব্যমূল্য। এরই ধারাবাহিকতায় এবার শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। 
 
১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রোর হাত ধরে কিউবায় প্রথমবারের মতো কমিউনিস্ট সরকার গঠিত হয়। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে কমিউনিস্টরাই শাসন করছে দেশটি।  

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

৪০০ বছরের ঐতিহ্যে ইতি, আর চিঠি বিলি করবে না ডেনমার্কের পোস্ট অফিস

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

এবার জোহানেসবার্গের পানশালায় বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত ৯

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

‘ন্যায়বিচারের দুয়ার বন্ধ’, রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিতে বললেন ইমরান খান

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভেনেজুয়েলার উপকূলে আবার তেলের ট্যাংকার জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র