অবশেষে ভারতেও চালু হতে চলেছে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক। কেন্দ্রীয় টেলিকম দপ্তরের অনুমোদনের পর আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বহু প্রত্যন্ত এলাকাও এই দ্রুতগতির ইন্টারনেটের আওতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্টারলিংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যাঁরা সংযোগ নেবেন, তাঁদের জন্য এক মাসের ফ্রি ট্রায়াল থাকবে। তবে এরপর প্রতি মাসে গড়ে তিন হাজার রুপি সাবস্ক্রিপশন বাবদ খরচ হতে পারে। এর পাশাপাশি সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস ও রাউটার মিলিয়ে এককালীন প্রায় ৩৩ হাজার রুপি খরচ পড়বে বলে জানানো হয়েছে।
স্টারলিংক দাবি করছে, তাদের ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতেও গড়ে ১০০ থেকে ২২৫ এমবিপিএস (Mbps) পর্যন্ত গতি দিতে পারবে। ফাইবার বা মোবাইল নেটওয়ার্ক যেখানে এখনো পৌঁছাতে পারেনি, সেসব এলাকাই মূলত তাদের প্রধান লক্ষ্য। ফলে পাহাড়ি, অরণ্যঘেরা অঞ্চল কিংবা সীমান্তের কাছাকাছি সীমাবদ্ধ অঞ্চলে এই পরিষেবা একটি বিপ্লব আনতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা ও রাজ্যের প্রযুক্তি মহলের মতে, এই উদ্যোগ বাংলার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে জঙ্গলমহল, সুন্দরবন বা উত্তরবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম—যেখানে এখনো স্থায়ী ব্রডব্যান্ড পৌঁছায়নি, সেখানে এই পরিষেবা অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে।
ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমের (ডট) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, স্টারলিংকের প্রয়োজনীয় লাইসেন্সসংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। স্টারলিংক ইতিমধ্যেই ভারতের জন্য একটি আলাদা সাবসিডিয়ারি সংস্থা তৈরি করেছে, যার নাম ‘Starlink Satellite Communications Private Limited’।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিষেবা সস্তা না হলেও যাঁরা উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ইচ্ছুক, বিশেষ করে গ্রামীণ উদ্যোক্তা ও অনলাইন শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ হতে চলেছে।