হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

কানাডা থেকে আলবার্টা কি আলাদা হয়ে যাচ্ছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গত ৩ মে কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার দাবিতে আলবার্টার নিজস্ব পতাকা হাতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রদেশটিতে। ছবি: টাইম

প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বে কানাডায় নতুন সরকার গঠনের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই দেশটিতে ভাঙনের সুর বেজে উঠেছে। আলবার্টার প্রিমিয়ার ডেনিয়েলি স্মিথ সম্প্রতি একটি লাইভ সম্প্রচারে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালে একটি প্রাদেশিক গণভোটে কানাডা থেকে আলবার্টার বিচ্ছেদের প্রশ্ন তোলা হতে পারে। তবে এর আগে নাগরিক উদ্যোগে একটি পিটিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর সংগ্রহেরও শর্ত রয়েছে।

ডেনিয়েলি স্মিথ বলেছেন, ‘আমরা আলবার্টানরা সব সময় কানাডার প্রতি অনুগত, গর্বিত ও উদার ছিলাম।’ তবে এসব কথার পরও কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনা করেন স্মিথ। এমনকি এসব নীতিকে ‘ধ্বংসাত্মক’ বলেও অভিহিত করেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কানাডা থেকে আলাদা হওয়ার পক্ষপাতী নন, তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে একটি সম্ভাব্য গণভোটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

আলবার্টা কানাডার একটি প্রদেশ, যার জনসংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা অঙ্গরাজ্যের সীমানা ঘেঁষে। বিশাল খনিজ, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার এই প্রদেশকে কানাডার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি করে তুলেছে। ২০২৩ সালে কানাডার মোট অপরিশোধিত তেলের ৮৪ শতাংশ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ৬১ শতাংশ এই প্রদেশ থেকেই এসেছে।

ডেনিয়েলি স্মিথের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড কনজারভেটিভ পার্টি ২০১৯ সাল থেকে আলবার্টা শাসন করছে। তারা কর হ্রাস এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কার্বন ট্যাক্সের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। স্মিথ অভিযোগ করেন—লিবারেল নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার পাইপলাইন আটকে দিয়েছে, তেল-গ্যাস প্রকল্প বাতিল করেছে এবং কার্বন ট্যাক্স চাপিয়ে দিয়েছে—যা প্রদেশটির অর্থনৈতিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।

ডেনিয়েলি স্মিথ। ছবি: টাইম

মঙ্গলবার টাইম-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কানাডায় কার্নির জয়লাভের পর আলবার্টায় বিক্ষোভ হয়েছে। কেউ কেউ আমেরিকার পতাকা নিয়ে বিচ্ছেদের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ আলবার্টান কানাডার সঙ্গেই থাকতে চান। মাত্র ১০ শতাংশ মনে করেন আলবার্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়া ভালো হবে।

আবার একতরফাভাবেও বিচ্ছেদ সম্ভব নয়। কানাডার সংবিধান অনুযায়ী, বিচ্ছেদের জন্য ‘ক্ল্যারিটি অ্যাক্ট’ অনুসরণ করতে হবে। এর অর্থ হলো—গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিচ্ছেদের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সংসদীয় অনুমোদনের মাধ্যমে আলোচনা ও সংবিধান সংশোধন করেই এই বিচ্ছেদ সম্ভব হবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী কার্নি ও স্মিথ ইতিমধ্যে একটি আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। স্মিথ জানিয়েছেন, তারা ‘আলবার্টা নেক্সট’ নামে একটি প্যানেল গঠন করছেন, যেখানে জনমত সংগ্রহের জন্য টাউন হল বৈঠক হবে। তবে কার্নি আশাবাদী যে, একসঙ্গে কাজ করে তাঁরা অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন।

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন

মার্কিন নজর এড়িয়ে কীভাবে তেল পাচার করে ভেনেজুয়েলার গোপন নৌবহর

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

হিমালয়ের গহিনে চীনের মহা শক্তিধর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ঘিরে রহস্য ও উদ্বেগ

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার দৃশ্যপটে ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, পাকিস্তানে গৃহদাহের শঙ্কা

নিকাব বিতর্ক: মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির নেত্রীর থানায় অভিযোগ

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

নিকাব বিতর্ক: বিহারের নীতীশের পক্ষে সাফাই গাইলেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র