যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী দুই বছর গাজা উপত্যকার ব্যবস্থাপনা দেখভাল করবে যে ‘বোর্ড অব পিস বা শান্তি পরিষদ’—সেখানে বিশ্বের বহু বড় দেশের প্রধানেরা থাকবেন। বোর্ডটি এখনো গঠিত হয়নি। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, নৈশভোজে ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমি আশা করি, মহামান্যও বোর্ডে থাকবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবাই বোর্ডে থাকতে চায়, আর শেষ পর্যন্ত এটি বেশ বড় একটি বোর্ড হবে। কারণ, এতে বিশ্বের সব প্রধান দেশের নেতা থাকবেন।’
ট্রাম্প এমন এক সময়ে এই মন্তব্য করলেন যার মাত্র এক দিন আগেই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বোর্ড অব পিসকে অন্তত দুই বছরের জন্য গাজা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব পাস করেছে। সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই বোর্ড অব পিস ২০২৭ সালের শেষ পর্যন্ত গাজা পরিচালনা করবে।
ট্রাম্প গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সৌদি যুবরাজ যে ভূমিকা রেখেছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি বলেন, ‘যদিও পরিস্থিতিটা কিছুটা অগোছালো দেখায়… (গাজা) প্রায় নিখুঁত অবস্থার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।’
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে জিম্মিদের ফেরত আনার বিষয়েও তিনি ঢালাওভাবে নিজের ভূমিকা তুলে ধরেন। তবে তিনি ভুল করে দাবি করে বলেন যে, হামাস এখন আর দুজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবে। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা আসলে তিন। ট্রাম্প বলেন, ‘হামাস অনেক কাজ করেছে, আর অনেকে ভেবেছিল তারা এ ধরনের কাজ করবে না।’
তিনি গাজার সাধারণ মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা গাজার জনগণকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই…তারা আবার ঘরে ফিরতে শুরু করেছে… (তাদের এখন) আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা রয়েছে।’ বাস্তবে গাজার অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষের বড় একটি অংশ এখনো তাঁবুতে বসবাস করছে।