গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে শুরু থেকেই প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে আসছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারত। জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানও।
দুই সপ্তাহ ধরে উপমহাদেশ তো বটেই, পুরো বিশ্বেরই নজর ছিল ভারত-পাকিস্তানের ওপর। কাশ্মীর হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানবিরোধী নানা পদক্ষেপ তো নিয়েছেই ভারত, চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আরও ২৬টি রাফাল কিনতে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে মোদি সরকার।
যুদ্ধ শুরুর পর এবার নতুন করে আলোচনায় ভারতের সমরাস্ত্র। এত হুমকি-ধমকির পর কী কী সমরাস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালাল ভারত, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, দূরপাল্লা ও নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে সক্ষম সামরিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে স্ক্যাল্প (SCALP) ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, হাই প্রিসিশন বোমা হ্যামার (HAMMER) ও কামিকাজ ড্রোন।
স্ক্যাল্প ক্ষেপণাস্ত্র স্টর্ম শ্যাডো নামেও পরিচিত। এটি আকাশ থেকে ক্ষেপণযোগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা ২৫০ কিলোমিটার দূর থেকেও লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে। মূলত বড় ধরনের হামলার জন্যই নকশা করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
হ্যামার বা হাইলি অ্যাজাইল মডিউলার মিউনিশন এক্সটেনডেড রেঞ্জ মূলত একটি স্মার্ট বোমা। মূলত বহুতল ভবন বা বাঙ্কারের মতো সামরিক স্থাপনা ধ্বংসে এটি ব্যবহার করা হয়। হাইপ্রিসিশন এই বোমা ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে।
কামিকাজ ড্রোন বা লোইটারিং মিউনিশন মূলত নজরদারি, লক্ষ্য শনাক্তকরণের জন্য সুপরিচিত। এ ধরনের অস্ত্র নির্দিষ্ট এলাকায় লক্ষ্যবস্তু খুঁজে খুঁজে শনাক্ত করে হামলা চালায় এবং এরপর তা নিজে ধ্বংস হয়ে যায়। এটি মূলত এক বিশেষ ধরনের আত্মঘাতী ড্রোন।