প্রায় নয় বছর পর অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবেনিজ। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েই ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এদিকে পরাজয়ের আভাস পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আলবেনিজকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি নিজ দলের প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ায়। প্রায় ৭০ লাখ মানুষ এ দিন ভোট দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লেবার পার্টি ৭২টি আসন পেয়েছে। দেশটির সংসদে নিম্নকক্ষে আসনসংখ্যা ১৫১ টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য দরকার আরও চারটি আসন। অন্যদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৫১টি আসন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, অ্যান্থনি আলবেনিজ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারণ ভোটগণনা এখনো চলছে। তবে দেরিতে হলেও শনিবার সন্ধ্যায় পরাজয় মেনে নিয়েছেন স্কট মরিসন। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা ও সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজের সঙ্গে আমি ইতিমধ্যে কথা বলেছি। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি।’
এদিকে অ্যান্থনি আলবেনিজ উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে।’ এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় বাম নেতাদের সঙ্গে জনগণের ঐক্যের প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া সামাজিক পরিষেবাগুলোতে বিনিয়োগ এবং জলবায়ু যুদ্ধের অবসানেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন অ্যান্থনি আলবেনিজ।
মরিসন ও আলবেনিজের পররাষ্ট্রনীতিতেও যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। বিশেষ করে, প্যাসিফিক অঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। মরিসন চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাকলেও লেবার পার্টি ভারসাম্য রক্ষা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।