হোম > বিশ্ব > আফ্রিকা

যেসব কারণে সোমালীয়রা জলদস্যুতায় বেশি জড়ায় 

বিগত কয়েক দশক ধরে জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেই যে দেশটির নাম সবার আগে মনে পড়ে সেটি হলো সোমালিয়া। আফ্রিকার এই দেশটি সর্বশেষ কবে স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা ছিল তা মনে করার জন্য স্মৃতি হাতড়াতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা, খরাসহ নানা কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে সরাসরি ৬০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে আছে আর ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। সামগ্রিকভাবে সোমালিয়ায় জলদস্যুতার পেছনের কারণ হিসেবে এই বিষয়গুলোই কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। 

বিশ শতকের ৯০ এর দশকে সোমালিয়ায় সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। দেশটি এক মহা বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যায়। তারপর থেকেই স্থিতিশীল সরকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য মৌলিক সেবা দেশটিতে অনুপস্থিত। এ কারণে দেশটির সমুদ্র উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশই জড়িয়ে পড়েছে জলদস্যুতায়। বিশ্ব বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জলপথ সোমালিয়া ঘেঁষে যাওয়ার কারণেও জলদস্যুতা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের কাছে। 

এডেন উপসাগরের দুই পাশের এক পাশে অবস্থিত জিবুতি ও সোমালিয়া এবং অন্যপাশে ইয়েমেন। জিবুতি ও ইয়েমেনের মাঝের বাব এল-মান্দেব প্রণালি হয়েই বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ বাণিজ্যিক জাহাজ লোহিত সাগর ও সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে যায়। 

তবে কেবল সহিংসতা বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেই যে জলদস্যুতার রমরমা তা কিন্তু নয়। জলদস্যুতা থেকে বেশ মোটা অর্থও আসে। ২০০৯ সালে জলদস্যুদের ১৭৭ মিলিয়ন ডলার ও ২০১০ সালে ২৩৮ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলো। 

জলদস্যুদের অর্জিত মুক্তিপণ এককভাবে ভোগ করার সুযোগ নেই। বেশ কয়েকটি পক্ষের মধ্যে প্রাপ্ত অর্থ ভাগ হয়ে যায়। আর এ কারণে স্থানীয় অর্থনীতিতে এর বেশ ভালোই প্রভাব পড়ে। সাধারণত, মুক্তিপণের ৩০ শতাংশ অর্থ পায় ছিনতাইকারীরা, ১০ শতাংশ পায় স্থানীয় এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী, ১০ শতাংশ পায় স্থানীয় মুরুব্বি তথা নেতারা এবং ২০ শতাংশ পায় একটি ছিনতাইয়ে যার অর্থ ঢালে তারা এবং বাকি ৩০ শতাংশ যায় ছিনতাই কার্যক্রমে জড়িত অন্যান্য পক্ষগুলো। 

এ ছাড়া, সোমালিয়ায় আইনের শাসনের অভাব, জলদস্যুতা রোধে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাবসহ নানা কারণেই এই বিষয়টি বেড়ে চলেছে। এ ছাড়া জলদস্যুতা রোধে আন্তর্জাতিক ঐকমত্যের অভাবও একটি কারণ। 

কিন্তু দস্যুদের যেখানে পোয়াবারো সেখানে বিমা, জাহাজ পরিবহন কোম্পানিগুলোর খরচ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে, জলদস্যুতার কারণে জাহাজগুলোকে ঘুরপথে আফ্রিকা উপকূল হয়ে পরিচালনা করা, জলদস্যু বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করাসহ নানা কারণেই খরচ বেড়ে গেছে। এক হিসাব অনুসারে, জলদস্যুতার কারণে, এই অঞ্চলে বছরে ৭০০ থেকে ১২০০ কোটি ডলার ক্ষতি হয়। 

ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন রিভিউ থেকে অনূদিত

সোনা খুঁজতে গিয়েছিল দুই কিশোর, খনি ধসে চাপা পড়ে হলো মৃত্যু

বেনিনে সামরিক অভ্যুত্থান ঠেকিয়ে দিল সরকার অনুগত সেনারা

দক্ষিণ আফ্রিকায় হোস্টেলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত অন্তত ১১

মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের, নেপথ্যে সুদানকেন্দ্রিক আরব বিশ্বের নয়া ভূরাজনীতি

নামিবিয়ার নির্বাচনে আবারও জয়ী ‘অ্যাডলফ হিটলার’

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে ১৭ যুবককে প্ররোচনার অভিযোগ—জ্যাকব জুমার মেয়ের পদত্যাগ

ভোটে পরাজয় টের পেয়ে গিনি বিসাউয়ের প্রেসিডেন্টই কি ঘটালেন সামরিক অভ্যুত্থান

গিনি বিসাউয়ে সামরিক অভ্যুত্থান, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল, প্রেসিডেন্ট বন্দী

এল-ফাশেরে ৩ দিনে ২৭ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আরএসএফ: দারফুরের গভর্নর

১০ হাজার বছর পর জেগেছে ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি, ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে ছাই