সুদানের সেনা কর্মকর্তা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, সুদানের সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ এড়াতেই সেনা অভ্যুত্থান করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান আরও জানান, সুদানের রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিনিয়ত বেসামরিকদের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। এতে দেশে গৃহযুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তীব্রতর ছিল। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থেই সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের হটিয়ে সুদানের ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ হামদককে গৃহবন্দী করা হয়। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে দেশটির গণতন্ত্রকামী জনগণ। সেখানে গুলি চালানো হয়। এতে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১০ জন।
সুদানের এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপিয়ান ও আফ্রিকান ইউনিয়ন সুদানের প্রধানমন্ত্রী হামদকসহ অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির জোর দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বার্তায় জানিয়েছেন, সুদানের এই অভ্যুত্থান আফ্রিকা ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। তাই দ্রুত সুদানের এই সংকট নিরসনে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সাবেক নেতা ওমর আল-বশিরের পতনের পর সুদানে সামরিক ও বেসামরিক গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এর আগেও গত মাসে দেশটিতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়।