পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ সাউমের প্রায় ৫০ নারী অপহরণের শিকার হয়েছেন। দেশটির সরকার বলছে, সন্দেহভাজন বিদ্রোহীরা তাঁদের অপহরণ করেছে। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ১২ ও ১৩ জানুয়ারি এই অপহরণের ঘটনাগুলো ঘটেছে।
আঞ্চলিক গভর্নর লেফটেন্যান্ট কর্নেল রোডলফ সোরঘো স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, অরিবিন্দা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে লিকি গ্রামের বাইরে বন্য ফল সংগ্রহ করার সময় সশস্ত্র বন্দুকধারীরা ওই নারীদের তুলে নিয়ে গেছে। তাঁদের খুঁজে বের করতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অপহৃত নারীদের খুঁজে বের করতে আকাশে ও মাটিতে সব উপায়ে চেষ্টা করছে বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তাবাহিনী। যেকোনো সন্দেহজনক গতিবিধি শনাক্ত করতে উড়োজাহাজগুলো ওই এলাকার ওপর দিয়ে উড়ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান ভলকার তুর্ক সোমবার এক বিবৃতিতে ওই নারীদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি অবিলম্বে অপহৃত নারীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অপহৃত নারীদের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘অবিলম্বে ও নিরাপদে অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং অপহরণকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশগুলোর একটি। দেশটিতে আল কয়েদা ও আইএসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে সহিংস লড়াই চালিয়ে আসছে। ২০১৫ সালে প্রতিবেশী দেশ মালি থেকে তারা বুরকিনা ফাসোয় ছড়িয়ে পড়ে।