আমাদের দেশে অনেক শিশু আছে, যাদের চোখ ‘মারাত্মক খারাপ’ হওয়ার আগে চিকিৎসা শুরু হয় না। এতে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্মগত লেজি আই অথবা এমব্লায়োপিয়া, ক্যাটারাক্ট কিংবা ছানি, গ্লুকোমা, রেটিনার ক্যানসার বা রেটিনোব্লাস্টোমার মতো দুরারোগ্য রোগও হতে পারে। তাই ‘মারাত্মক খারাপ’ হওয়ার আগেই শিশুর চোখ পরীক্ষা করাতে হবে।
কখন শিশুর চোখ পরীক্ষা করাবেন
- বাবা-মা দুজনেই কিংবা বাবা অথবা মা অনেক বেশি পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করলে।
- পরিবারের কারও জন্মান্ধতাজনিত রোগ, রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা বা রাতকানা, জন্মগত ছানি বা কনজেনিটাল ক্যাটারা, গ্লুকোমা, রেটিনাতে ক্যানসার বা রেটিনোব্লাস্টোমা থাকলে।
- আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহিত বাবা-মায়ের সন্তান হলে।
- মায়ের গর্ভধারণকালে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপ, আর্থ্রারাইটিস ইত্যাদি রোগ, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে।
- পরিণত হওয়ার আগেই শিশুর জন্ম হলে।
- জন্মের সময় শিশুর ওজন দেড় কেজির কম হলে।
- হৃৎপিণ্ড, কিডনি ও মাথায় জন্মগত ত্রুটি থাকলে।
- যখন-তখন শিশুর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে।
- শিশুর হাঁটা, চলা, কথা বলা দেরিতে শুরু হলে।
জন্মের সময় চোখের
কোনো সমস্যা না থাকলেও স্কুলে ভর্তি করানোর আগে শিশুর চোখ পরীক্ষা করান।
লেখক:– চক্ষুরোগ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ