হোম > স্বাস্থ্য

আজ আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

আজ আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস। শব্দদূষণকে একটি নীরব ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার দিবসটি প্রতিপালিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর হিয়ারিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন নামক সংগঠনটি এ দিবস পালনের উদ্যোক্তা। শব্দদূষণ হ্রাসে পরিবেশ অধিদপ্তর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় নানা ধরনের কর্মকাণ্ড নিলেও এর দায়িত্ব সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের ওপর বর্তায়। তাই শব্দদূষণ প্রতিরোধে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশের শব্দদূষণ আইন বিধিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবেল এবং দিনের অন্য সময়ে ৫৫ ডেসিবেল অতিক্রম করতে পারবে না। বাণিজ্যিক এলাকায় তা যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ ডেসিবেল। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতের আশপাশে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা রয়েছে।

শব্দদূষণজনিত স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি 
অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণ ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ, নাড়ির গতি বৃদ্ধি, শ্রবণশক্তি হ্রাস, মাত্রাতিরিক্ত শব্দে পেটের গোলযোগ (গ্যাস্ট্রাইটিস, কোলাইটিস), এমনকি হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মানসিক চাপ, কর্মদক্ষতা হ্রাস, মনোযোগ দিতে না পারা, অন্যের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে যোগাযোগ দক্ষতা কমে যাওয়া, কর্মক্ষেত্রে এক্সিডেন্ট এবং আহত হওয়াসহ নানাবিধ উপসর্গ এবং লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

শিশুর স্বাস্থ্যে শব্দদূষণের প্রভাব 
আশঙ্কার কথা হলো, শিশুদের ক্ষেত্রে শব্দদূষণের প্রভাব আজীবন স্বাস্থ্যগত নেতিবাচক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তিন ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
শারীরিক: শ্রবণক্ষমতা কমে যাওয়া, রক্তচাপ বৃদ্ধি, হরমোনের ভারসাম্য়হীনতা, ঘুমের সমস্যা, কানে ঝিনঝিন শব্দ করা (টিনাইটাস) ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বুদ্ধিবৃত্তিক: শিশুর কথা বলতে দেরি, কথোপকথন বুঝতে সমস্যা, ভালোমতো মনে রাখতে না পারা, পড়ার দক্ষতা কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আচরণগত: দুশ্চিন্তা, কাজকর্মে উৎসাহের অভাব, অস্থিরতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। 

অসুস্থ রোগীর ওপর শব্দদূষণের প্রভাব 
যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, আইসিইউর রোগীরা সব থেকে বেশি দুর্বল অবস্থায় থাকায় অতিরিক্ত শব্দের জন্য তাদের কষ্ট বেড়ে যায়। করোনারি কেয়ার ইউনিট, যেখানে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া হয়; সেখানে ক্রমাগত মেশিনের শব্দ রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে বলে একই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

পোষা প্রাণীর ওপর শব্দদূষণের প্রভাব 
গবেষণা বলছে, ৮৫ ডেসিবেল বা এর অধিক শব্দ থাকলে পোষা প্রাণীর শ্রবণক্ষমতা নষ্ট হয়। তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি এবং হৃৎপিণ্ডের গতি বৃদ্ধি পায়, আপনি তাকে কোনো ইঙ্গিত দিলে বা আদেশ করলে অনুরূপ আচরণ করতে সে ব্যর্থ হয়। 

লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি  প্রাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি 

৬ দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা

টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতিতে দিনভর দুর্ভোগ

শৌচাগার সুবিধা: হাসপাতালে বিড়ম্বনায় প্রতিবন্ধীরা

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬৫

এইডস দিবসের আলোচনা: চলতি বছর দেশে সর্বোচ্চ এইডস রোগী শনাক্ত

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১০

ডেঙ্গু: এক দিনে মারা গেল আরও ৫ জন, নভেম্বরে সর্বোচ্চ মৃত্যু

গলা ও বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা: কেন হয় এবং প্রতিরোধে করণীয়

শীতে ত্বকের যত্ন ও চর্মরোগ থেকে পরিত্রাণের উপায়

শীতকালীন বিষণ্নতা কাটাতে যা করবেন