হোম > স্বাস্থ্য

ওষুধ খাতে এপিআই নীতি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ (এএইচআরবি) ওষুধশিল্পকে কৌশলগতভাবে শক্তিশালী ও জাতীয় স্বাস্থ্যনিরাপত্তা জোরদার করতে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো খোলাচিঠিতে এই নীতিকে ‘জাতীয় স্বার্থে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ও এএইচআরবির আহ্বায়ক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন।

চিঠিতে বলা হয়, দেশে এখন প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআইয়ের বড় অংশই আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলেই উৎপাদনব্যবস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়ে। করোনাকালে এই দুর্বলতা বিশেষভাবে প্রকাশ পেয়েছিল। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এপিআই, ভ্যাকসিন, আইভিডি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনে দ্রুত দেশীয় সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য গবেষণা–উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রণোদনা ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ধাপে ধাপে আমদানি সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির সফল বাস্তবায়ন উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, কঠোর তদারকি ও দৃঢ় রাজনৈতিক নেতৃত্বে বড় নীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তর না ঘটলে দেশের ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত ৭ শতাংশের নিচে থাকবে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাত এই রূপান্তরের বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। ভারতে মোট রপ্তানির ৫ শতাংশ আসে ওষুধশিল্প থেকে, যেখানে বাংলাদেশে তা মাত্র ০.৫ শতাংশ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোয়েল মকিয়ের উদ্ধৃত করে চিঠিতে বলা হয়, ‘জ্ঞানই আধুনিক অর্থনীতির প্রধান চালক।’ তাই খাতটিকে টেকসই জ্ঞানভিত্তিক শিল্পে রূপান্তরিত করা জরুরি।

এপিআই নীতি কার্যকর করতে পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপ উল্লেখ করা হয়েছে—প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত বাধা দূর করা, আকর্ষণীয় প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম চালু করা, আর অ্যান্ড ডি-তে ধারাবাহিক সরকারি অনুদান, একাডেমিয়া–ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা জোরদার এবং নির্দিষ্ট সময়সীমায় বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন।

চিঠিতে বলা হয়, এ নীতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমলাতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এগোবে না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও দ্রুত তদারকি নিশ্চিত করলে এপিআই নীতি কাগুজে অবস্থায় আটকে থাকবে না। আমদানিনির্ভরতা কমবে, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, রপ্তানি বাড়বে, দক্ষ কর্মসংস্থান বাড়বে এবং ট্যাক্স–জিডিপি অনুপাত উন্নত হবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এটি কেবল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা, সক্ষমতা ও জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত কৌশলগত রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার।

দেশে এ বছর ৪ কোটি ২৫ লাখ শিশু টাইফয়েড টিকা পেয়েছে

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

নাক ডাকা: কারণ, ঝুঁকি এবং প্রতিকার

চোখের যেসব রোগ পুরুষদের বেশি হয়

পিঠব্যথা: কারণ, লক্ষণ ও করণীয়

সবজি সংরক্ষণ করবেন যেভাবে

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ৫ উপায়

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২০০ জন

৬ দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা

টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতিতে দিনভর দুর্ভোগ