পৃথিবীকে আমরা যত সুস্থ রাখতে পারব, আমরাও তত সুস্থ থাকব। এমন নয় যে পৃথিবী নিজে থেকেই দূষিত হচ্ছে। আমাদের এই নীলচে সবুজ গ্রহকে বিভিন্নভাবে আমরা প্রতিদিন দূষিত করছি। আর তার ফলও ভুগতে হচ্ছে আমাদেরই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিবছর পরিবেশগত কারণে প্রতিবছর ১৩ মিলিয়নের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর যত মানুষের মৃত্যু ঘটে, তার ২৮ শতাংশই ঘটে পরিবেশদূষণজনিত অসুখ-বিসুখের কারণে। এ ২৮ শতাংশ মৃত্যুর উল্লেখযোগ্য সংখ্যা নারীদের।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, পরিবেশদূষণ নারীস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নারীরা যে ঝুঁকির মধ্যে আছেন
শুধু এগুলোই নয়, পরিবেশদূষণের কারণে আরও বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয় নারীদের মধ্যে। দূষিত বায়ু ও পানি মায়ের নিজের ও গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
নতুন প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবেশদূষণ রোধ করে আমাদের পৃথিবীকে স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। জলবায়ু-সংকট মানব স্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকিস্বরূপ। জলবায়ু ও পরিবেশের সংকট তাই স্বাস্থ্যের সংকটও বটে!
প্রতিরোধে যা করতে হবে
পরিবেশদূষণ থেকে সুরক্ষিত থাকা একটি সামগ্রিক বিষয়। সচেতন হতে হবে নিজেদেরই।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক (গাইনি), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ