বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের পেস বোলার মারুফা আক্তার। ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতীয় দলে তাঁর অভিষেক হয়। নারীদের ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে গত বছর ২৯ রানে চার উইকেট নিয়ে ঐতিহাসিক জয়ে দারুণ অবদান রাখেন মারুফা। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে, তাঁর এই অবদানের জন্য ‘আইসিসি উইমেন্স ওডিআই পারফরম্যান্স অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন তিনি। ‘দ্য স্পোর্টস পেজ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মারুফা আক্তারকে নিয়ে এমন একটি তথ্য ভাইরাল হয়েছে।
তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ‘আইসিসি উইমেন্স ওডিআই পারফরম্যান্স অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ নামে কোনো অ্যাওয়ার্ড সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়নি।
আইসিসির ওয়েবসাইটে ‘বর্ষসেরা উদীয়মান নারী ক্রিকেটার-২০২৩’ ক্যাটাগরির সংক্ষিপ্ত তালিকায় অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের তিন খেলোয়াড়ের সঙ্গে মারুফা আক্তারের নাম পাওয়া যায়। তালিকাটি গত ৩ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। তবে চূড়ান্তভাবে এ বিভাগে বর্ষসেরা নির্বাচিত হন অস্ট্রেলিয়ান নারী ক্রিকেটার ফিব লিচফিল্ড।
পরে আরও প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ওয়েবসাইটে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মারুফা আক্তারকে নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ক্রিকইনফোর ২০২৩ সালের মেয়েদের ওয়ানডের বর্ষসেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন মারুফা আক্তার।
এই স্বীকৃতি পাওয়ার দৌড়ে মারুফা আক্তারের নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার নারী ক্রিকেটার নাদিন ডি ক্লার্ক।
অর্থাৎ বাংলাদেশি নারী ক্রিকেট দলের পেস বোলার মারুফা আক্তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নয়, তিনি মূলত ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ২০২৩ সালের মেয়েদের ওয়ানডের বর্ষসেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন।