২৯ এপ্রিল বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘আপত্তিকর অবস্থায় আবাসিক হোটেলে আটক ৭১ টিভির উপস্থাপিকা ফারজানা মিথিলা’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক হাজার শেয়ার হয় খবরটি। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘মাফিয়া টিভি’ নামে একটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করা হয়। একই দিনে ওই পোর্টালে ‘জামিনে মুক্তি পেলেন ৭১ টিভির উপস্থাপিকা ফারজানা মিথিলা’ শিরোনামে আরও একটি খবর প্রকাশিত হয়।
ফ্যাক্টচেক
১. ফ্যাক্টচেক শুরু করার আগেই আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ যোগাযোগ করে সরাসরি মিথিলা ফারজানার সাথে। ৩০ এপ্রিল বেলা ১টা ৩৭ মিনিটে কথা হয় তাঁর সাথে। ফলে আগের দিন আটক হওয়ার খবর ভিত্তিহীন।
৫. খবরটিতে র্যাবের একটি সূত্রের কথা বললেও সেটি স্পষ্ট নয়। যেমন সংশ্লিষ্ট র্যাবের কোনো দপ্তর কিংবা কোনো দায়িত্বশীলের নাম খবরটিতে উল্লেখ করা হয়নি। সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি রাজধানীর বাড্ডা থেকে আটক হয়েছেন, আর তার স্বামী জিডি করেছেন মিরপুর থানায়।
সাংবাদিক মিথিলা ফারজানার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি রাজধানীর নিকেতন আবাসিক এলাকায় থাকেন, যা গুলশান থানার আওতাধীন।
জিডির তথ্যটি সত্য হলে জিডি হওয়া উচিত বাড্ডা কিংবা গুলশান থানায়, মিরপুর থানার সংশ্লিষ্টতা এখানে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। অর্থাৎ জিডির তথ্যটিও অসমাঞ্জস্যপূর্ণ।
৬. ৭১ টিভির সংবাদকর্মী মিথিলা ফারজানাকে ২৯ এপ্রিল (খবরটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার একদিন পর) টিভি চ্যানেলটিতে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে দেখা গেছে।
অর্থাৎ বিভ্রান্তিকর সূত্রের বরাত দিয়ে ভিন্ন প্রেক্ষাপটের পুরোনো ছবি ব্যবহার করে সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা আটক হওয়ার ভিত্তিহীন খবরটি ছড়ানো হয়েছে।