যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার শতখালী এলাকা থেকে শিশুটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মান্নান শিকদার বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে শতখালী গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে আকলিমা যশোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠে। বাস সীমাখালী বাজারে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক নারী আকলিমার কাছে নবজাতক রেখে বলেন, ‘‘আমি শিশুর খাদ্য (দুধ) গরম করে আনি। একটু ধরেন।’’ এটা বলে অজ্ঞাত মহিলা হারিয়ে যান।’
ইউপি সদস্য মান্নান শিকদার বলেন, ‘পরে আকলিমা যশোর না গিয়ে নবজাতককে নিয়ে সীমাখালী বাজারে নেমে যান এবং বিষয়টি টিকিট কাউন্টারে জানান। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নবজাতককে উদ্ধার করে।’
শালিখা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশারুল ইসলাম বলেন, ‘দুপুরে খবর পেয়ে, শতখালী গ্রামের লিয়াকতে মেয়ে আকলিমার কাছ থেকে নবজাতক উদ্ধার করা হয়। যশোর পুলিশকে বিষয়টি জানালে তাঁরা বাবা-মা সঙ্গে নিয়ে এসে শিশুটিকে যশোর নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।’
যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাত দিনের এক শিশুকে চুরির অভিযোগ ওঠে। শিশুর মা আসমা খাতুন ও বাবা মেহেদী হাসান জনি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
স্বজনরা জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ কুইন্স হসপিটালে আসমা-জনি দম্পতির প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পরই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ওই দিন রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকেরা শিশুটিকে যশোর শিশু হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলে রোববার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসকরা শিশুটিকে রিলিজ দেয়।
বাড়ি ফেরার জন্য তার বাবা গাড়ি আনতে হাসপাতালের বাইরে গেলে মা ও নানির সঙ্গে বোরকা পরা এক নারী ভাব জমান।
একপর্যায়ে ওই নারী শিশুটির দেখাশোনা করবেন জানিয়ে তার মা ও নানিকে সব গুছিয়ে নিতে বলেন। পরে শিশুটির মা ও নানি সব গুছিয়ে শৌচাগার থেকে ফিরে এসে দেখেন, তাঁদের নবজাতক নিয়ে ওই নারী পালিয়েছেন।
পুরো হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।