কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন না এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সাধারণত কারও যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হয়, সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে ধরে নেওয়া হয়। অনেকেই বলে থাকেন, পায়খানা পরিষ্কার হয় না, চিকন নালে বাথরুম হয়। বাথরুম করতে গেলে দেখা যায়, খুব শক্ত গুটলি গুটলি হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করণীয়
প্রাথমিক অবস্থায় কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, তিনি যদি প্রচুর পরিমাণে পানি, শাকসবজি খেয়ে থাকেন এবং নিয়মিত সকালে মলত্যাগের অভ্যাস করেন; তাহলে অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য পরিহার করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রে পায়খানা নরম করার জন্য ল্যাকটোলোজ-জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
এতেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়, তাহলে ‘ইসবগুলের ভুসি’ দিনে তিন চামচ করে দুইবার খেতে পারেন। এর সঙ্গে পূর্ণবয়স্করা প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান এবং নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করবেন।
প্রতিদিন নিয়মিত ঘুম ও পরিপূর্ণ বিশ্রাম নিলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো না হলে
এত কিছুর পরও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো না হয়, অনেক সময় শক্ত পায়খানা এসে আটকে থাকে, সে ক্ষেত্রে মলদ্বারে গ্লিসারিন-জাতীয় ওষুধ দিতে বলা হয়। তাতেও যদি কাজ না হয়, সে ক্ষেত্রে বলা হয় এনেমা দিতে।
কিন্তু এই কোষ্ঠকাঠিন্যকে শুধু ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’ ভেবে বসে থাকবেন না। চিকিৎসকের কাছে যান।
যেসব সতর্কতা মেনে চলতে হবে
লেখক: জেনারেল ও কোলোরেকটাল সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ