২০৬০ সালের মধ্যে নিজেদের দেশের কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব। গতকাল শনিবার সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ ফোরামে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই ঘোষণা দেন। তবে তেল ও গ্যাসে দেশটি বিনিয়োগ কমাবে কি না, অথবা জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন থেকে কীভাবে সরে আসবে সে ব্যাপারে কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে এমন ঘোষণা দিলো সৌদি।
সৌদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ ফোরামে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ২৭৮ মিলিয়ন টন কার্বন নিঃসরণ কমাবে সৌদি আরব। এভাবে ধীরে ধীরে কার্বন নিঃসরণ কমানোর মধ্য দিয়ে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাবে দেশটি।
সৌদি আরব বিশ্বের দূষণকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে। দেশটি বৈশ্বিক চেষ্টার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে মিথেন গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনার কথাও জানিয়েছে। জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬-এর সভাপতি অলোক শর্মা সৌদির এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
সৌদি আরবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ কোটি গাছ লাগানো এবং পতিত ভূমির বিশাল অংশে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স সালমান। যার মাধ্যমে ২০ কোটি টন কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব হবে এবং রাজধানী রিয়াদ আরও বেশি টেকসই হবে।
এখনো সৌদি আরবের অর্থনীতির প্রধান উৎস হচ্ছে জ্বালানি রপ্তানি। যদিও বিশ্ব এখন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার চেষ্টা করছে। দেশটি চলতি বছর শুধু তেল থেকে ১৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয় করার পূর্বাভাস দিয়েছে।
এর আগে রাশিয়া এবং চীনও ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। এখন সে তালিকায় নাম লেখালো শীর্ষ জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশটি। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।