হোম > পরিবেশ

সমুদ্র থেকে প্রতিবছর ৬০০ কোটি টন বালু উত্তোলন জীববৈচিত্র্যের জন্য ধ্বংসাত্মক: জাতিসংঘ

প্রতিবছর বিশ্বের সমুদ্র এবং মহাসাগরগুলো থেকে প্রায় ছয় বিলিয়ন (৬০০ কোটি) টন বালু ও অন্যান্য পলল জাতীয় পদার্থ তোলা হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত এ পরিসংখ্যানে বিষয়টি জীববৈচিত্র্য ও উপকূলবাসীর জন্য ধ্বংসাত্মক বলে সতর্ক করা হয়েছে। খবর এএফপির।

সামুদ্রিক পরিবেশ থেকে পলি উত্তোলনের বিষয়ে প্রথম বিশ্বব্যাপী ডাটা প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচি (ইউএনইপি)। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, বালু উত্তোলনের পরিমাণ বাড়ছে, এর পরিণতি ভয়াবহ হবে।

ইউএনইপির বিশ্লেষণ কেন্দ্র জিআরআইডি-জেনেভা প্রধান প্যাসকেল পেদুজ্জি বলেছেন, ‘অগভীর সমুদ্র খনন কার্যক্রম ও বালু উত্তোলনের পরিবেশগত প্রভাবের মাত্রা উদ্বেগজনক।’

তিনি জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব, পানির অস্বচ্ছতা এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ওপর শব্দের প্রভাবের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন। নতুন ডাটা প্ল্যাটফর্ম মেরিন স্যান্ড ওয়াচ বিশ্বের সামুদ্রিক পরিবেশে বালু, কাদামাটি, পলি, নুড়ি ও পাথরের ড্রেজিং কার্যক্রম ট্র্যাক ও নিরীক্ষণ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে।

তারা উত্তর সাগর এবং যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের মতো হটস্পটসহ বালু উত্তোলনকারী জাহাজের ক্রিয়াকলাপ শনাক্ত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত (এআই) জাহাজগুলোর জন্য তথাকথিত স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ সিস্টেম (এআইএস) সংকেত ব্যবহার করে।

পেদুজ্জি বলেন, জাহাজ থেকে নির্গত সংকেতের মাধ্যম পৃথিবীর প্রতিটি জাহাজের গতিবিধি নির্ণয় করা যায়। সংগৃহীত এসব তথ্য বিশ্লেষণে সাহায্য করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই প্রক্রিয়াটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ জাহাজের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

ছয় বিলিয়ন টন বালু উত্তোলন
প্ল্যাটফর্মটির অনুমান ২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবেশ থেকে প্রতিবছর চার থেকে আট বিলিয়ন টন সামুদ্রিক বালু ও অন্যান্য পলি উত্তোলন করা হয়েছে। জাতিসংঘ চলতি বছরের শেষ নাগাদ ২০২০-২৩ সালের পরিসংখ্যান প্রকাশ করার লক্ষ্য নিয়েছে।

পেদুজ্জি বলেন, ‘তবে এটি ইতিমধ্যে স্পষ্ট, বালু উত্তোলনের মাত্রা কমছে না, বরং দিনদিন ভয়ানকভাবে বাড়ছে।’

হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য
পেদুজ্জি সতর্ক করে দিয়েছেন, বিশ্ব প্রতিবছর বিশ্বের মহাসাগরে পলির প্রাকৃতিক পরিপূরণ হার ১০-১৬ বিলিয়ন টনের কাছাকাছি আসছে। বালু উত্তোলনকারী জাহাজগুলো খালি করছে সাগরের বুক। সমুদ্রতলের অণুজীবও উঠে আসছে বালুর সঙ্গে। এতে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।

এসব পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জাতিসংঘ বলেছে, নতুন ডাটা প্ল্যাটফর্মটি বালু উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে এবং তাঁদের পরিবেশবান্ধব উপায়ে বালু সংগ্রহে সাহায্য করতে পারে।

ইউএনইপি বলেছে, সমুদ্র থেকে বালুজাতীয় পদার্থ সংগ্রহে উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং অগভীর সমুদ্র খনন হ্রাসে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সংগঠনটি বালু উত্তোলনের নিয়ম-কানুনে ব্যাপক হেরফের লক্ষ করেছে এবং ড্রেজিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।

পাশাপাশি উপকূল, পরিবেশ ও অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষার্থে সৈকত থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে।

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকতে পারেন যেভাবে

মেঘলা ঢাকার আকাশ, কুয়াশার দেখা মিলতে পারে

শীতে জবুথবু, কুয়াশায় দুর্ঘটনা

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

সকালে সূর্যের দেখা নেই, কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ

ঢাকায় বেড়েছে বায়ুদূষণ, দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় কাবুল

পৌষ মাসে নেই শীতের দেখা, বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা