ড. ইনামুল হক আর আমি সমসাময়িক ছিলাম। তিনি আদ্যোপান্ত নাটকের মানুষ। সারা জীবন লিখেছেন, আজীবন নাটক নিয়ে কাজ করেছেন। ১৯৬৮ সালে যখন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় গঠন করলেন, তাঁর বাসাতেই আমরা প্রতিদিন রিহার্সাল করতাম। আমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে মুস্তাফা মনোয়ারের প্রযোজনায় টিভিতে আসে প্রথম মঞ্চনাটক ‘ঈদিপাস’।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের ব্যানারে আমার নির্দেশনায় তিনি মঞ্চে অভিনয় করেন ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নাটকে। এই নাটকে তাঁর স্ত্রী নাট্যজন লাকী ইনামও অভিনয় করেন। নাগরিকের অনেক নাটকই তাঁর মেধার স্পর্শে ধন্য হয়েছে।
একসময় তিনি দল থেকে বেরিয়ে গেলেন। নিজেরাই দল গড়লেন। নাম রাখলেন নাগরিক নাট্যাঙ্গন। সেখানেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে নাট্যচর্চা করেছেন। তাঁর স্ত্রী লাকী ইনাম। দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হক। মেয়ের জামাই লিটু আনাম ও সাজু খাদেম। পরিবারের সবাই নাটকের মানুষ।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেও নিয়মিত নাট্যচর্চা করেছেন ড. ইনামুল হক। ছাত্রলীগ করতেন। দেশপ্রাণ এক মানুষ, অতি সরল মনের একজন মানুষ ছিলেন। নতুন ছেলে-মেয়েদের গড়ে তোলার লক্ষ্যে থিয়েটার স্কুল তৈরি করেছিলেন।