বিখ্যাত একজন বাঙালির বায়োপিকে অভিনয় করবেন সাইফ আলী খান। সিনেমায় চরিত্রের মুখে থাকবে বাঙালি উচ্চারণে বাংলা সংলাপ। তাই মাস তিনেক ধরে বাংলা ভাষা শিখছেন সাইফ। তিনি জানিয়েছেন, এই তিন মাস ধরে অন্য কিছু করছেন না, শুধুই এ সিনেমার জন্য সময় দিচ্ছেন।
যেহেতু নতুন সিনেমা, তাই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি সাইফ। সিনেমার কী নাম, কার বায়োপিক, কে পরিচালনা করবেন—সবই গোপন রেখেছেন। শুধু জানালেন, অনেক দিন পর এমন একটি প্রজেক্ট এসেছে তাঁর হাতে, যার জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি দরকার। এই প্রস্তুতির প্রক্রিয়া দারুণ উপভোগ করছেন তিনি।
হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নতুন সিনেমাটি নিয়ে সাইফ আলী খান বলেন, ‘এটি বিখ্যাত এক ব্যক্তির বায়োপিক, তৈরি হবে বাংলা ভাষায়। তবে এটিকে আঞ্চলিক সিনেমা মনে করার কোনো কারণ নেই। সিনেমাটির শুটিং শুরুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। প্রস্তুতি নিচ্ছি। ‘‘স্যাক্রেড গেমস’’ সিরিজের এত দিন পর এমন একটি প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলাম, যার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির দরকার। চরিত্রটির ধারণা পেয়েছি, এখন আমাকে এটি আত্মস্থ করতে হবে।’
মা শর্মিলা ঠাকুর বাঙালি হলেও বাংলা ভাষা কখনো শেখা হয়নি সাইফ আলী খানের। কয়েক বছর আগে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শর্মিলা ঠাকুর জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে সোহা আলী খান বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনি বাংলা বলতে পারেন, বুঝতে পারেন। তবে সাইফ একেবারেই বাংলা পারেন না। যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ ভক্ত সাইফ। কিন্তু বাংলা না জানার কারণে রবীন্দ্রনাথের লেখা তিনি পড়েছেন ইংরেজি অনুবাদে। এবার সিনেমার প্রয়োজনে বাংলা ভাষাটা শেখার সুযোগ হচ্ছে সাইফের।
বাংলা না জানলেও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি টান সব সময়ই ছিল সাইফ আলী খানের। কলকাতায় বেশ কিছু সিনেমার শুটিং করেছেন তিনি। কাজ করেছেন বাঙালি পরিচালকের নির্দেশনায়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে বাঙালি পরিচালক প্রদীপ সরকারের ‘পরিণীতা’ সাইফের ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রশংসিত সিনেমা। বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে সাইফ বলেছিলেন, ‘কলকাতায় আমার ছোটবেলার কোনো স্মৃতি নেই। তার জন্য আফসোসও লাগে। তবে বাঙালি ঐতিহ্যের জন্য বরাবরই আমি খুব গর্ব বোধ করি।’