ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ১৩ দিন পর ভোটে নানান অনিয়ম, অসংগতি ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মধুর ক্যানটিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচনে নিয়ে অসংগতি ও অনিয়মের ১১টি অভিযোগ উত্থাপন করেন ওই প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করা মো. আবিদুল ইসলাম খান।
আবিদুল বলেন, ভোটারকে নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার সরবরাহ; ভোটার উপস্থিত হওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় উপস্থিতির স্বাক্ষর দিয়ে দেওয়াসহ নানাবিধ জালিয়াতি হয়েছে। ২০১৯ সালের সর্বশেষ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারে ক্রমিক নম্বর না থাকায় ছাত্রলীগ নীরবে ভোট কারচুপির সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এবারের নির্বাচনে ব্যবহৃত ব্যালট পেপারেও কোনো ক্রমিক নম্বর ছিল না। এ ছাড়া ছাপানো ব্যালট পেপারের সংখ্যা, ভোটকেন্দ্রে সরবরাহকৃত, ব্যবহৃত ও বাতিল হওয়া ব্যালট পেপারের সংখ্যা এবং ভোট গ্রহণ শেষে ফেরত আসা ব্যালট পেপারের সংখ্যা কোথাও প্রকাশ করা হয়নি।
ছাত্রদল প্যানেলের অভিযোগ, ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ভোট গণনা মেশিন এবং সফটওয়্যারের নির্ভুলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের সময় নির্দিষ্ট কয়েকজন শিক্ষক ও টেকনিশিয়ান উপস্থিত থাকলেও ভোটার ও প্রার্থীদের এ বিষয়ে মোটেও অবহিত করা হয়নি। এ ছাড়া অনেক ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের অনুপস্থিতিতে পক্ষপাতদুষ্টভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ঢাবি প্রশাসন থেকে পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনে নিরাপত্তা ও জোটসংশ্লিষ্ট দায়িত্বে থাকা কতিপয় অতি উৎসাহীদের দ্বারা একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে ক্যাম্পাসে অবাধে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া, ভোট গণনার সময়ে পোলিং এজেন্টদের কার্যত নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বাধ্য করা, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরের বলপেন ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে ভোট নষ্ট করার হীনচেষ্টাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে বলে জানান আবিদুল।