সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন আগামী ৭ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বদরুল আহমদ চৌধুরী।
আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বদরুল আহমদ চৌধুরী বলেন, আদালতে আসামিপক্ষ ও বাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আদালত আগামী ৭ জানুয়ারি রায়হান হত্যার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছেন। পুলিশের বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহী ছাড়া মামলার সব আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে।
এদিকে, মামলার অন্য আসামিদের বেশির ভাগই জামিন নিয়ে বের হয়ে পলাতক হয়েছেন। এর মধ্যে প্রধান আসামি পুলিশের বরখাস্ত করা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হলেও পরে তাঁর জামিন স্থগিত করা হয় এবং ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি আদালতে হাজির না হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। পরিবারের দাবি ছিল—পুলিশি নির্যাতনেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রীর করা মামলায় গঠিত তদন্ত কমিটি নির্যাতনের সত্যতা পায়। এরপর এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে পিবিআই তদন্ত করে মামলায় ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় ২০২১ সালের ৫ মে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, টিটু চন্দ্র দাস, এসআই হাসান উদ্দিন ও সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান। মোট ৬৯ সাক্ষীর মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।