হবিগঞ্জ শহরে মায়ের ওপর অভিমান করে সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার রাত ৮টায় শহরের উত্তর শ্যামলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সুমাইয়া ওই এলাকার মিজানুর রহমানে মেয়ে।
সুমাইয়ার মায়ের বরাত দিয়ে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক সাকরিয়া হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হয় সুমাইয়ার। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সুমাইয়ার মা তাকে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। পরে শনিবার বিকেলে মেয়ের মোবাইল ফোনটি আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন মা। সন্ধ্যায় প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়া শেষে সুমাইয়া ভেতর থেকে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়।’
মায়ের সন্দেহ হলে জাতীয় সেবা নম্বর-৯৯৯-এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য চান জানিয়ে সাকরিয়া হায়দার বলেন, পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সদর থানার পুলিশের একটি দল উত্তর শ্যামলী এলাকার দোতলা বাসার রুমের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমাইয়াকে উদ্ধার করে। এরপর হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুমাইয়া আক্তারের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।