রংপুরে কয়েক লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে শুরু হওয়া বিভাগীয় ইজতেমার প্রথম দিনেই দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ইজতেমা মাঠে বয়সজনিত জটিলতা ও শ্বাসকষ্টে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। উভয় ঘটনাকেই স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইজতেমা মাঠের ৬ নম্বর হালকার জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম।
মারা যাওয়া মুসল্লিরা হলেন রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাঈদুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলার তারা মিয়া। তারা মিয়া ৪০ দিনের চিল্লায় রংপুর এসে ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন। ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, বিস্তৃত মাঠে লাখো মুসল্লির সমাগমে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গতকাল রাত থেকে ইজতেমা এলাকার প্রতিটি অংশ পূর্ণ হয়ে যায়।
আজ ভোরে মাওলানা আব্দুল কাদেরের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী রংপুর বিভাগীয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। আয়োজকদের ধারণা, শুক্রবার জুমার নামাজে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি যোগ দিতে পারেন। আগামী শনিবার দুপুর ১২টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ইজতেমা।
আয়োজক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, রংপুর বিভাগের আট জেলার তাবলিগের সাথিরা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার ৪০ দিনের চিল্লায় থাকা ব্যক্তিরা ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। এ ছাড়া ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ মেহমান অংশগ্রহণ করেছেন।
ইজতেমা মাঠে আলোকসজ্জা, পানি সরবরাহ, অজু-গোসলের ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকেরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পশুরাম থানার ওসি মাইদুল ইসলাম বলেন, ইজতেমা মাঠে দুজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দুজনের মৃত্যুই স্বাভাবিক। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান, প্রথমবার বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে।