লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রায় ৪০ জন গ্রাহকের ঋণের কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ব্যাংকার আজিজুর রহমান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টাকা ফেরত পেতে ও আজিজুরের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযুক্ত আজিজুর রহমান রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সিনিয়র অফিসার।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজিজুর রহমান প্রতারণা করে আমাদের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকে আসছেন না। লিখিত অভিযোগ করেও আমরা কোন সুফল পাইনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অতি দ্রুত আমাদের এ অভিযোগ সমাধান করা না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।
এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বলেন, প্রায় ৪০ জন গ্রাহক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রায় ১ মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না। তাঁকে বারবার অফিসে আসার নোটিশ দিলেও অফিসে আসছেন না তিনি।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক লালমনিরহাট জোনাল ম্যানেজার মাহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অফিস করছেন না এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন না। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সিনিয়র অফিসার আজিজুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
উপজেলার রাজশাহী কৃষি ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিরু, ভুক্তভোগী সেলিম উদ্দিন সুমন, বেলাল হোসেন সুমন, জাফিরুল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রায় ৪০ জন গ্রাহকের ঋণের টাকা আত্মসাৎ করেন ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। গ্রাহকেরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাঁকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন আজিজুর রহমান। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠকও হয়। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত না পেয়ে গ্রাহকেরা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না ওই কর্মকর্তা। এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আজিজুর ইসলামকে বারবার অফিসে আসার নোটিশ দিলেও তিনি অফিসে আসছেন না।