রংপুরের মিঠাপুকুরে এক যুবকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা মাহবুবার রহমানের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর এক সমর্থক হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
গতকাল রোববার রাতে ওই জামায়াত নেতা খুন হন। কিছুক্ষণ পর সংবাদ শুনে মারা যান তাঁর সমর্থক রফিকুল ইসলাম।
আজ সোমবার বিকেলে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়া স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে জাফরপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে চেয়ারম্যানের এবং বাহাদুরপুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের মরদেহ দাফন করা হয়।
অভিযুক্ত হারুন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান।
জানাজায় উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, ইউএনও রকিবুল হাসান, ওসি মোস্তাফিজার রহমানসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
গতকাল রোববার রাতে উপজেলার পায়রাবন্দ বাজারে হারুন মিয়া নামে এক যুবকের ধারালো অস্ত্রের কোপে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান নিহত হন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা হারুন মিয়াকে আটক করে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর শুনে রাতেই রফিকুল ইসলাম হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। স্থানীয়রা বলছেন, অভিযুক্ত হারুন মিয়া মাদকাসক্ত। তবে চেয়ারম্যানকে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।