রংপুরের পীরগাছায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার রায়ের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে অচেতন করে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাঁকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করার পর আজ শুক্রবার গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বলাৎকারের শিকার ওই ব্যক্তিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া ওই এসআইয়ের তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক বৃদ্ধকে আজ সকালে উদ্ধার করেছে পীরগাছা থানার পুলিশ। এ ঘটনা এখন পীরগাছায় সবার মুখে মুখে।
গত বুধবার রাতে উপজেলার কলেজপাড়ায় এসআইয়ের ভাড়া বাড়িতে এই বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন ধরেই ওই এসআই এমন যৌনাচারে মেতে ওঠেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি প্রকাশ পেলে আজ সকালে এসআইয়ের তালাবদ্ধ ঘর থেকে আরেকজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পীরগাছা বাজারের দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙাসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বলাৎকারের শিকার ব্যক্তির বাড়িও পীরগাছায়। ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি পেশায় ভ্যানচালক। আর তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া পুরুষের বাড়ি উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নে। তাঁর বয়স ৫৫ বছর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা থানার এসআই স্বপন কুমার রায়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ২০-২৫ দিন আগে বাবার বাড়ি চলে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কয়েক দিন ধরে এমন অপকর্ম করে যাচ্ছিলেন তিনি।
গত বুধবার রাতে সদর ইউনিয়নের ওই ভ্যানচালককে তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে বলাৎকার করেন। সারা রাত সেখানে অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে যান ওই ব্যক্তি। এরপর শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুভব করলে বিষয়টি জানাজানি হতে থাকে। সন্ধ্যায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অভিযুক্ত এসআই স্বপন কুমার রায়কে রাতেই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। আজ এসআইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ‘এক ব্যক্তিকে বলাৎকারের অভিযোগে স্বপন কুমার রায়কে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার পর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’