গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় মারধরের অভিযোগ এনে নীলফামারীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুনের করা মামলায় তাঁর স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামকে (৩৩) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক নাজমুল হাসান। এর আগে আজ দুপুরেই গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরে দুপুরেই তাঁকে গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
পপি খাতুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে। তিনি নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার বর্মা বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে আসেন পপি খাতুন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে এসে তাঁর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে পপিকে মারধর করেন তিনি। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতেই গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন পপি খাতুন। পরে আজ শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোহাইমেনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।’