পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সহযোগী সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্মাণ প্রকল্পে ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইসলামাবাদের আদালত অনুমতি দেওয়ার পর আজ শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
২০২২ সালের আগস্টে এক নাগরিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার মামলায় যুক্ত থাকার কারণে সাবেক এই পিটিআই সংসদ সদস্যকে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পুলিশ হেফাজতে তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
তাঁর রিমান্ডের মেয়াদ এক দিন বাড়ানোর পর এ মামলায় তাঁকে বিচারিক রিমান্ডে নেওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনি আদিয়ালা জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
এর আগে চলতি মাসে, পাঞ্জাব অ্যান্টি-করাপশন এস্টাবলিশমেন্টকে (এসিই) একটি দুর্নীতির মামলায় ফাওয়াদের এক দিনের শারীরিক রিমান্ড মঞ্জুর করেছে রাওয়ালপিন্ডির এক আদালত।
আজ ইসলামাবাদ এনএবি সাবেক এই পিটিআই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এনএবি তাঁকে অধ্যাদেশের ধারা ৯(ক)-এর অধীনে ‘দুর্নীতি ও দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের চর্চার অপরাধের অভিযোগে’ অভিযুক্ত করেছে।
এনএবি চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) নাজির আহমেদ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন এবং ফাওয়াদকে ‘তদন্ত শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় আটক রাখার অনুমোদনের জন্য আদালতে হাজির করার’ নির্দেশ দেন।
আজ ফাওয়াদের স্ত্রী হিবা মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে পোস্ট করেন।
আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, ‘একটি আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছিল যে কেউই (কারাগারের) বাইরে থাকবে না; যাতে তাঁরা আর তাঁদের নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন।’
এরপর আজ ইসলামাবাদের জেলা ও সেশন আদালত এনএবিকে গ্রেপ্তার পরোয়ানা বাস্তবায়ন করে তাঁকে তদন্তের অধীনে আনার অনুমতি দেয়।
.